রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডলকে (৪৫) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় গুরুতর জখম হয়ে এখন তিনি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড় নামক এলাকাতে এই ঘটনা ঘটে। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান মন্ডল গোয়ালন্দ উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় সভা শেষে তিনি মোটরসাইকেল যোগে দৌলতদিয়া বেপারি পাড়ার নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। তার সাথে আরও একটি মোটরসাইকেলে ছিল। পথিমধ্যে পদ্মার মোড় নামক স্থানে পৌঁছালে পূর্ব হতে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
তার পেট, পিঠ, হাত ও ঘাড় মারাত্মক জখম হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।এদিকে চেয়ারম্যানের ওপর নৃশংস এ হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে তার রাজনৈতিক সহকর্মী ও ইউনিয়নবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গোয়ালন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডা. মৌসুমি ও উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. শাধন কুমার বাছার জানান, চেয়ারম্যান আব্দুর রহমানের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হয়েছে। তারমধ্যে পেটের আঘাতটি খুবই গুরুতর। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা ও দুই হাতে দুটি স্যালাইন দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, এ ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সব জানানো হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।