বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, যারা বলেন বিএনপি নাই, বিএনপি থাকবে না। তাদের মুখে ছাই দিয়ে বিএনপি টিকে আছে এবং থাকবে। বিএনপির হাতেই দেশ ও স্বাধীনতা নিরাপদ। বিএনপিংর প্রতিষ্ঠাতাই দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। বিএনপিই এদেশে গণতন্ত্র পুণঃপ্রতিষ্ঠা করেছে। যারা দেশকে বিপদে ফেলে চলে যায় তাদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। শুক্রবার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত গণ দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিল শেষে কয়েক সহস্রাধিক মানুষের মাঝে তোবারক বিতরণ করা হয়।মির্জা আব্বাস বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়ে ক্ষান্ত হননি, সম্মুখ যুদ্ধও করেছেন। যে কাজটি তাদের (আওয়ামী লীগ নেতাদের) করার কথা ছিলো সেটি জিয়াউর রহমান করেছেন। কিন্তু সময় তারা দেশকে বিপদে ফেলে চলে গিয়েছিলেন। এরজন্যই জিয়াউর রহমানের প্রতি তাদের এত ক্ষোভ। তিনি বলেন, মাত্র সাড়ে তিনবছরের শাসনামলে জিয়া দেশকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তলাবিহীন ঝুড়িকে স্বাবলম্বী করেছিলেন। এই আওয়ামী লীগ সরকার আবার দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করেছে। মানুষ এমনিতেই কষ্টে আছে। এরমধ্যে সরকার আবারও তেলের দাম বাড়িয়েছে। এই বৃদ্ধির কারণে আবারও সবকিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাবে। কেনো দেশের এই করুণদশা? এরা লুট করে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে। দূর্নীতির মাধ্যমে পুরোদেশকে অকার্যকর করে তুলছে।
বিএনপির অপর স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবো। এরজন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। বিএনপির গণ মানুষের দল। মানুষের দাবি আদায়ে বিএনপিকেই ভুমিকা রাখতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নবী উল্লাহ নবী, যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধা, মোহাম্মদ মোহন, মোশাররফ হোসেন খোকন, আব্দুস সাত্তার, আ ন ম সাইফুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ হারুন, লিটন মাহমুদ, মনির হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শ্রমিক দলের আহবায়ক মোঃ সুমন ভূইয়া ও সদস্য সচিব বদরুল আলম সবুজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য এডভোকেট মকবুল হোসেন সরদার, জিয়া মন্চের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উল্লাহ ইকবালসহ প্রমুখ। দোয়া পরিচালনা করেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের আহবায়ক মাওলানা সেলিম রেজা।