ঢাকা, রবিবার ৬ই অক্টোবর ২০২৪ , বাংলা - 

১৪ কোটির প্রকল্পে পরামর্শক ব্যয় ৮ কোটি !

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-05-26, 12.00 AM
১৪ কোটির প্রকল্পে পরামর্শক ব্যয় ৮ কোটি !

মাছ ও ফসলের অন্যতম ভান্ডার দেশের বৃহত্তম বিল চলনবিল। উত্তরের জনপদের এক সেরা প্রাকৃতিক সম্পদ এটি। রাজশাহী, নটোর, পাবনা ও সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে চলনবিলের বিস্তৃতি। দেশের সবচেয়ে বড় এই বিল একসময় বছরের নয় মাস থাকতো পানিতে ডুবে। তবে পলি জমে এখন আর আগের মতো নেই চলনবিল। এ অবস্থায় চলনবিলের ভূমি ও পানির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে নেওয়া হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে চালানো হবে সমীক্ষা। প্রস্তাবিত সমীক্ষা প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এতে মোট ২৭ জন পরামর্শকের (১৮৮ জনমাস) জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিকল্পনা কমিশন। পরামর্শক ব্যয় কমিয়ে যৌক্তিক করতে বলা হয়েছে।বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রস্তাবিত এ সমীক্ষা প্রকল্পে মোট পরামর্শক ২৭ জন। এর মধ্যে টিম লিডারের (১৪ মাস) জন্য প্রতি মাসে সম্মানি ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া পাঁচ পরামর্শকের জন্য ৫ লাখ ৭০ হাজার, ১৪ পরামর্শকের জন্য ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে মাসিক সম্মানি চাওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আরও দুই পরামর্শকের মাসিক সম্মানি ৩ লাখ টাকা করে এবং অন্য পাঁচ পরামর্শকের প্রতিজনের মাসিক সম্মানি ধরা হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।‘চলনবিল এলাকার পানি ও ভূমি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও জীবনযাত্রার মানের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা’ শীর্ষক এ প্রকল্পের বিষয়ে সম্প্রতি সভা করে প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি)। পরিকল্পনা কমিশনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আবদুল বাকী। সভার সিদ্ধান্ত অনুসারে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরকে প্রকল্পের সব ধরনের ব্যয় কমানোর সুপারিশ করেছে কমিশন।টিম লিডারের মাসিক সম্মানি ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়া সিনিয়র ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্টের মাসিক সম্মানি ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার পরিবর্তে সাড়ে ৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। প্রকল্পে ক্লাইমেট চেঞ্জ এক্সপার্টের বেতন ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হলেও কমিশন সাড়ে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। একই ধরনের অন্য প্রকল্পের পরামর্শকদের সম্মানি পর্যালোচনা করে এমন সুপারিশ করা হয়েছে।বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন অথবা প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্পের পরামর্শকদের সম্মানি পর্যালোচনায় দেখা যায়, উত্তর রাজশাহী সেচ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা হালনাগাদ প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের টিম লিডারের মাসিক সম্মানি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। বরিশাল অঞ্চলের নদীগুলোর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রণয়নের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের টিম লিডারের মাসিক সম্মানি ৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশের নদ-নদীর তথ্য হালনাগাদ ও তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের টিম লিডারের মাসিক সম্মানি ৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা প্রস্তাব করা হয়। অথচ চলনবিল বিষয়ক প্রস্তাবিত এ প্রকল্পের পরামর্শক ফার্মের টিম লিডারের মাসিক সম্মানি ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, যা অনেক বেশি বলে মনে করছে কমিশন। বিস্তারিত আলোচনার পর পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শকের তালিকায় সিনিয়র প্লানিং অ্যান্ড পলিসি এক্সপার্ট পদ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে কমিশন মত দিয়েছে। এছাড়া টিম লিডারের মাসিক সম্মানি ৫ লাখ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।একইভাবে ২৬ ধরনের পদের মাসিক সম্মানি ও বেতন বাড়তি ধরা হয়েছে বলে মনে করছে কমিশন। এর মধ্যে ২২ পদের সম্মানি ও বেতন কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে। ২২ পদের মধ্যে রয়েছে সিনিয়র প্লানিং অ্যান্ড পলিসি এক্সপার্ট, সিনিয়র গ্রাউন্ড ওয়াটার সারফেস ওয়াটার ইন্টার্যাকশন মড্যুলার, গ্রাউন্ড ওয়াটার মড্যুলার, ড্রাগিং স্পেশালিস্ট, হাইড্রো জিওলিস্ট, ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার, মরফোলজিস্ট, এগ্রিকালচার এক্সপার্ট, ফিশারিজ এক্সপার্ট, লাইভস্টক এক্সপার্ট, ফরেস্ট এক্সপার্ট, ওয়াটার কোয়ালিটি এক্সপার্ট, ইকোলজিস্ট, সোশিওলজিস্ট, ইকোনমিস্ট ও জুনিয়র সার্ভে স্পেশালিস্ট। একই ধরনের অন্য কাজে কী ধরনের পরামর্শক ব্যয় চাওয়া হয়েছে এসব বিবেচনা করে পুনরায় বেতন ও সম্মানি নির্ধারণ করতে বলেছে কমিশন।

 

অন্য পরামর্শকদের মধ্যে সিনিয়র স্পেশালিস্টদের মাসিক সম্মানি ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্পেশালিস্টদের ৪ লাখ ও জুনিয়র স্পেশালিস্টদের এক লাখ ৮০ হাজার টাকা নির্ধারণে মত দেওয়া হয়েছে। তবে এ প্রকল্পের পরামর্শকদের মাসিক সম্মানি, সংখ্যা ও জনমাস একই ধরনের অন্য প্রকল্পের সঙ্গে মিল রেখে নির্ধারণ করতে সুপারিশ এসেছে।এ বিষয়ে কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লিপ্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) আবদুল বাকী  বলেন, ‘চলনবিল এলাকার পানি ও ভূমি সম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা এবং জীবনযাত্রার মানের সম্ভাব্যতা যাচাই সমীক্ষা প্রকল্পের পিইসি সভা হয়েছে। সভায় কিছু খাতের ব্যয় কমানোর সুপারিশ করেছি। যেমন একজন টিম লিডারের বেতন ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে, এটা কমানোর সুপারিশ করেছি। একই ধরনের অন্য প্রকল্পে এ খাতে কেমন ব্যয় হয়েছে সেটা বিবেচনা করেই ব্যয় নির্ধারণ করা হবে। ব্যয় যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনতে বলেছি।’১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়সীমা প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। পাশাপাশি প্রকল্পের অন্য পরামর্শকদের মাসিক সম্মানি, সংখ্যা ও জনমাস সমজাতীয় প্রকল্পের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্ধারণের বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে পরিকল্পনা কমিশন।পরামর্শক খাতে এত ব্যয় প্রসঙ্গে বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও আইসিটি) গাজী মিজানুর রহমান  বলেন, ‘এটা বুদ্ধিভিত্তিক কাজ। পানি ও মাটির অবস্থা দেখবেন বিশেষজ্ঞরা। প্রকল্পের কাজই পরামর্শকের। চলনবিলে কী কাজ বা পরিকল্পনা নেওয়া যায়- এটা দেখা হবে। সব কাজই বুদ্ধিভিত্তিক। যে কারণে মূল ব্যয়টা হবে পরামর্শক খাতে।’

 

পিইসি সভায় অর্থ বিভাগের উপসচিব মিলিয়া শারমিন জানান, পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরামর্শকসহ প্রকল্পভুক্ত অন্য ব্যয়ের ক্ষেত্রে ১২ শতাংশ কর ধরে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা যৌক্তিক নয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরামর্শকদের সম্মানির ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করা হয়েছে। তাই, পরামর্শকদের সম্মানির ওপর ১০ শতাংশ কর ধরে সম্মানি চূড়ান্ত করা উচিত। অন্য পরিচালন ব্যয়ের ক্ষেত্রেও ১২ শতাংশ কর ধরে ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা যথাযথ নয়। এছাড়া প্রকল্পভুক্ত অর্থনৈতিক কোড পর্যালোচনা করা প্রয়োজন। পরামর্শক ব্যয়ের ক্ষেত্রে সাধারণত পরিশোধযোগ্য খরচ যোগ করে পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু প্রস্তাবিত প্রকল্পে পরামর্শক ব্যয় দুটি ভিন্ন অর্থনৈতিক কোডের অধীনে দেখানো হয়েছে, যা সংশোধন করা প্রয়োজন।পরিকল্পনা কমিশন জানায়, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ এর অন্যতম উদ্দেশ্য বাংলাদেশের নদী-নালা, খাল-বিল আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। চলনবিল এলাকা দীর্ঘমেয়াদে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রস্তাবিত প্রকল্পের শিরোনাম, উদ্দেশ্য, পটভূমি এবং আউটপুটে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। সে অনুযায়ী পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের টিম অব রেফারেন্স যথাযথভাবে পুনর্গঠন করা প্রয়োজন। প্রকল্প এলাকার পেশাজীবী জনগণের ওপর কী কী প্রভাব পড়তে পারে এবং তা মোকাবিলায় করণীয় কী, তা কর্ম-পরিকল্পনায় যথাযথভাবে উল্লেখ করতে হবে।এছাড়া হাওর এলাকার যোগাযোগব্যবস্থা উন্নয়নে ওই এলাকায় ভবিষ্যতে রাস্তাঘাট, বাঁধ, ব্রিজ, কালভার্ট করার সুযোগ আছে কি না সেটিও প্রস্তাবিত সমীক্ষায় উঠে আসা প্রয়োজন। প্রকল্প এলাকা কীভাবে বা কোন কোন কাজে ব্যবহার করলে পানির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা যাবে তা সমীক্ষা প্রতিবেদনে থাকা দরকার বলে মত কমিশনের।

 

এছাড়া ৫০ বছর আগে চলনবিলের কী অবস্থা ছিল, বর্তমানে কী অবস্থা আছে তা বিবেচনায় আনতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামী ১০০ বছরে চলনবিলে কী পরিবর্তন হতে পারে- সে অনুযায়ী স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়নের বিষয় প্রস্তাবিত প্রকল্পের আউটপুটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

 

প্রকল্পের উদ্দেশ্য

চলনবিলে প্রাকৃতিক সমাধানের ভিত্তিতে স্থিতিশীল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানো ও জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। বিল এলাকার উন্নয়ন ক্ষেত্রভিত্তিক তথ্য সংগ্রহ ও সমস্যার কারণ বের করা হবে। বিল এলাকায় যোগাযোগসহ পানির উৎস চিহ্নিত করে ও চাহিদাভিত্তিক পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিরূপণ করা। চলনবিলে শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিতে করণীয় নির্ধারণ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এর আওতায় ওই এলাকায় ভূ-উপরিস্থ ও ভূ-নিম্নস্থ পানির ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহারের পদ্ধতি চিহ্নিত করা হবে। একই সঙ্গে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট এলাকায় জলাভূমি, খাল ও নদী খননের স্থান চিহ্নিত করা হবে।এ মহাপরিকল্পনার মাধ্যমে চলনবিল এলাকায় মধু, মাছ ও ফসলের উৎপাদন আরও বাড়বে বলে দাবি বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের। সংস্থাটি জানায়, ১৮২৭ সালে চলনবিলের আয়তন ছিল ৫০০ বর্গমাইলের বেশি। তবে ১৯০৯ সালে চলনবিলের আয়তন কমে হয় ১৪২ বর্গমাইল। এর মধ্যে ৩৩ বর্গমাইল এলাকায় সারাবছর পানি জমে থাকতো। এরপর ধীরে ধীরে পানির স্রোতধারা ও নাব্য হারিয়ে সংকুচিত হয়ে পড়ছে চলনবিল।

 

কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে চলনবিলের পানি নেমে গেলে সমতল ভূমি জেগে ওঠে। তখন ওই সমতল ভূমি বা জমিতে চাষ হয় সরিষা, রসুন, কালাই, ধান, লাউ, কপি, গাজর, বেগুন, শসা, ক্ষীরাসহ নানান রবিশস্য। এরপর ওই এলাকা কৃষক প্রস্তুতি নেন বোরো ধান চাষের। পৌষ-মাঘ মাসে ধানের চারা রোপণ শেষ হয়। শুধু ধান নয়, অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিতে আবাদ হয় শাক-সবজি। শুষ্ক মৌসুমে এসব ফসল উৎপাদনে ব্যবহার হয় ভূ-গর্ভস্থ পানি। ফলে হাওরকেন্দ্রিক মহাপরিকল্পনায় পানির প্রাপ্যতার বিষয়টিও রাখা হচ্ছে।বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তর জানায়, নাটোরের বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর ও সিংড়া, নওগাঁর রানীনগর ও আত্রাই, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, রায়গঞ্জ ও উল্লাপাড়া, পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর ও বেড়া এবং বগুড়া জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় বিলের জীববৈচিত্র্য ও উৎপাদন সক্ষমতা পুনরুদ্ধারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত এবং বিনিয়োগ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। এজন্য চলনবিল এলাকার পানি ও ভূমি, মাটির গুণাগুণ, কৃষি-মৎস্য-বনজ সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জীবনযাত্রার মান, নৌ-যোগাযোগ, শস্য পরিক্রমা এবং আর্থ-সামাজিক অবস্থা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে এ সমীক্ষা প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে।