অন্তীম ইচ্ছানুযায়ী নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর পার্বতী ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন প্রয়াত বরেণ্য রাজনীতিবিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পৈত্রিক বাড়ির মসজিদের সামনে জানাজা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে (বাদ মাগরিব) পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়। মৃত্যুর আগে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বাবা-মায়ের কবরের পাশে সমায়িত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে গেছেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী পরিবারের পক্ষ থেকে সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মওদুদ আহমদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ, মেয়ে আনা তাসপিয়া মওদুদ, দুই ভাই, দুই বোনসহ অসংখ্য গুণগাহী রেখে গেছেন।
মওদুদ আহমদের ব্যক্তিগত সহকারী মমিনুর রহমান সুজন বাংলানিউজকে বলেন, ঢাকার আনুষ্ঠানিকতা শেষে হেলিকপ্টারে করে মরদেহ কবিরহাট উপজেলায় নিয়ে আসা হয়। বাদ জুম্মা কবিরহাট সরকারি কলেজ মাঠ, বিকেল ৪টার দিকে বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ মাঠ, সাড়ে ৫টার দিকে মানিকপুরের নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে তাকে সমায়িত করা হয়।
এর আগে দুপুর ৩টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে কবিরহাট ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে মওদুদ আহমদের মরদেহ আনা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট ডিগ্রি কলেজ মাঠে তার তৃতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, যুগ্ম মহাসচিব
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির সদস্য তাবিথ আউয়াল, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রহমান, কবিরহাট পৌরসভার মেয়র
জহিরুল হক রায়হান, কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুর রহিম চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক লিটন চৌধুরী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রিপন, কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান
মঞ্জুসহ দলীয় নেতা-কর্মী ও সর্বস্তরের জনগণ।
মওদুদ আহমদের মৃত্যুতে সারাদেশের পাশাপাশি তার নির্বাচনী এলাকা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়ে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
নোয়াখালী-৫ আসন (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) থেকেই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মওদুদ আহমদ ১৯৪০ সালে ২৪ মে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মাওলানা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এবং মা বেগম আম্বিয়া খাতুন। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে মওদুদ আহমেদ ছিলেন চতুর্থ।