দেশের সদ্যপ্রয়াত প্রেসিডেন্টকে বিদায় জানাতে আজ রাস্তায় নামল ইরান। গত কালই ইরান সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল যে, দেশের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির। তাঁর সঙ্গে ওই কপ্টারে ছিলেন দেশের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদোল্লা হিয়ান-সহ আরও সাত জন। দুর্ঘটনায় তাঁরা কেউই বেঁচে নেই। গত কাল থেকে পাঁচ দিনের শোকপর্ব শুরু হয়েছে ইরানে। চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। আজ ইরান সরকার জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান চলবে তিন দিন ধরে। যার প্রথম ভাগ আজই শুরু হয়েছে তাবরিজ় শহর থেকে। রইসির শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আগামী কাল তেহরান আসছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে এমনটাই আজ জানানো হয়েছে।রবিবার সকালে তাবরিজ়ের কাছেই রইসিদের বেল-২১২ কপ্টারটি দুর্ঘটনায় পড়েছিল। আজ সকালে প্রেসিডেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে তাবরিজ়ের রাস্তায় উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ। যে-যে পথ দিয়ে ফুল আর জাতীয় পতাকায় সাজানো রইসির কফিনের কনভয় গিয়েছে, পথের দু’ধারে ছিল উপচে পড়া ভিড়। অনেকেরই চোখে জল। অনেককে আবার মোবাইল ক্যামেরায় মিছিলের ভিডিয়ো বা ছবি তুলে রাখতেও দেখা গিয়েছে। বিকেলের দিকে তাবরিজ় থেকে কোওম শহরে পৌঁছয় রইসি-সহ সব মৃতের কফিন। সেখানে আর এক প্রস্ত শোক-মিছিল হয়। রাতের দিকে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ও বিদেশমন্ত্রীর দেহ-সহ সব কফিন রাজধানী তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে পৌঁছেছে। আগামী কাল তেহরানে আর এক বার শেষকৃত্য অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। সেখানে হাজির থাকার কথা দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা খামেনেইয়ের। ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ প্রার্থনায় অংশ নেওয়ার কথা খামেনেইয়ের। ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই আগামী কাল তেহরান রওনা হচ্ছেন ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। এই কঠিন সময়ে ইরানের পাশে থাকার বার্তা দিতেই নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে। রইসির মৃত্যুতে ভারতে এক দিনের জন্য আনুষ্ঠানিক শোকপালনও করা হয়েছে।আগামী শুক্রবার ইরানে শোকপর্বের শেষ দিন। তার আগের দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁর নিজের শহর মাশাদে সমাহিত করা হবে রইসিকে। ইরান সরকার জানিয়েছে, কী ভাবে রইসিদের কপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ল, তার তদন্ত চলছে। তবে এ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এখনও পৌঁছতে পারেননি তদন্তকারীরা। কে দেশের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হবেন, তা স্থির করতে আগামী ২৮ জুন নির্বাচন হবে বলে জানানো হয়েছে।