কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের সাবেক যুবলীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন হত্যা মামলায় ৯ জনকে ফাঁসি ও ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।রোববার (১২ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন। কুমিল্লা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী ও আমির হোসেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করেন জামাল উদ্দিন। এ ঘটনার জেরে ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি ঢাকায় যাওয়ার পথে জামাল উদ্দিনকে অপহরণ করে এলাকার একটি নির্মাণাধীন বাড়ির ভেতর নিয়ে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে নিহতের বড় বোন জোহরা আক্তার ২১ জনকে নামীয় এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে এজহারনামীয় ২১ জন ও তদন্তে প্রাপ্ত দুজনসহ মোট ২৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এ মামলায় ৪৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২০ জন সাক্ষ্য দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত কফিল উদ্দিন ছাড়া বাকি সবাই পলাতক রয়েছেন।নিহতের বড় বোন জোহরা আক্তার ও ছাবেরা আক্তার বলেন, আমরা এই রায়ে খুশি। তবে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত রায় কার্যকরের আবেদন জানাচ্ছি।