ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

রিকশাচালকও ফ্ল্যাটে থাকবে:প্রধানমন্ত্রী

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-05-11, 12.00 AM
রিকশাচালকও ফ্ল্যাটে থাকবে:প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান বস্তিবাসী-রিকশাচালক-নিম্ন আয়ের মানুষরাও যেন ফ্ল্যাটে বসবাস করে। শনিবার (১১ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকারের ফ্ল্যাট নির্মাণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবির) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের একেবারে তৃণমূলের মানুষ যারা আছে, সুইপার, হরিজন, দলিত বলে যাদের একটু অন্য দৃষ্টিতে দেখা হতো। সব নাম পরিবর্তন করে সুন্দর নাম দিয়েছি। তাদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দিচ্ছি। বস্তিবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ করে দেওয়া শুরু হয়েছে। যাতে অল্প খরচে সাধারণ মানুষগুলো স্বাস্থ্যকর, সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে। শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই রিকশাওয়ালা, দিনমজুর, সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরা ফ্ল্যাটে থাকবে। আমার প্রত্যেকটা কাজ হচ্ছে এই তৃণমূলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। এই কথা মাথায় রেখে সবাই দায়িত্ব পালন করবেন।

 

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমিহীন-গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ জেলার ৩৩৪ উপজেলাকে আমরা গৃহহীন-ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা দিতে পেরেছি। বাংলাদেশ একটি পরিবারও ভূমিহীন, গৃহহীন থাকবে না। সেটাই আমাদের লক্ষ্য, সেভাবে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি।

সরকার প্রধান আরও বলেন, আমরা চাই আমাদের দেশে এগিয়ে যাক, আমাদের দেশ পিছিয়ে থাকবে না। আমাদের দেশের মানুষের মেধা শক্তি অনেক বেশি, সেটাকে কাজে লাগিয়ে আমরা আমাদের দেশটি গড়ে তুলবো। সে লক্ষ্য নিয়েই সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে আমার তৃণমূল মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাব।

বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সমালোচনার জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কিছু মানুষের প্রকৃতি থাকে যা কিছু দেখুক সেটাই ভালো লাগে না। ভালো না লাগা গ্রুপ কি বলল না বলল, তাতে কিছু আসে যায় না। আমার দেশের মানুষ ভালো আছে কিনা, তাদের উন্নতি হচ্ছে কিনা, তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে কিনা সেটা নিয়েই আমার মাথাব্যথা, সেটাই আমরা দেখতে চাই।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গুণীজনদের হাতে স্বর্ণ পদক, সনদ তুলে দেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আইইবি প্রেসিডেন্ট মো. আবদুস সবুর, জেনারেল সেক্রেটারি এসএম মঞ্জরুল হক মঞ্জু, আইইবি ঢাকা সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, জেনারেল সেক্রেটারি মো. নজরুল ইসলাম।