অমর একুশে বইমেলা-২০২১ এর পর্দা উঠেছে আজ। তবে মেলার দুই অংশের মধ্যে বাংলা একাডেমি অংশে জমজমাট থাকলেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশ অনেকটা ধূসর। উদ্যান অংশ রঙিন করার জন্য এখনো খুঁটিনাটি কাজ করে যাচ্ছেন স্টল মালিকরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বাংলা একাডেমি অংশের প্রায় সব স্টল সাজানো সম্পন্ন। ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে স্টল দেখছেন। পছন্দের বইয়ের মলাটে হাত বুলিয়ে দেখছেন। বইমেলা প্রাঙ্গণ অনেকটা গোছানো।
তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে দেখা যায়, মাঠে ধুলা উড়ছে। বাংলা একাডেমি থেকে পানি ছিটানোর কথা থাকলেও এর কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। বইমেলায় হাঁটার জন্য নির্ধারিত রাস্তার কাজও সম্পন্ন হয়েছে। তবে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আবার এখনো স্টল সাজানোর কাজ চলার কারণে কাঠ, পেরেক পড়ে আছে। সতর্কভাবে হাঁটতে হচ্ছে বইপ্রেমীদের। তারপরও অনেক স্টলে বই সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষা করছেন বিক্রেতারা। ক্রেতারা ঘুরে ফিরে স্টলগুলো দেখছেন।
উদ্যান অংশে এখনো চলছে স্টল সাজানোর কাজ
প্রকাশকদের সঙ্গে বই বিক্রির বিষয়ে কথা বললে তারা বলেন, ‘বইমেলা শুরুর কয়েকদিন সবসময়ই বিক্রি কম হয়। শুরুতে দর্শনার্থীরা দেখেন, ঘোরেন, পছন্দ করে চলে যান। সপ্তাহখানেক যাওয়ার পর বই বিক্রি বাড়বে। আবার শেষেরদিকে বিক্রির চাপ আরও বাড়বে।’
তারা আরও বলেন, ‘এবার বইমেলা যে হচ্ছে তা এখনো ভালভাবে মানুষ জানে না। কয়েকদিনের মধ্যে জেনে যাবে। আর আমাদের মেলা প্রাঙ্গণও এখনো সেইভাবে গোছানো হয়নি। আশা করি, কয়েকদিনের মধ্যে বইমেলায় প্রাণ আসবে।’
দর্শনার্থী মেহেদী হাসান বলেন, ‘বাংলা একাডেমি অংশে মোটামুটি ভালো লেগেছে। কিন্তু উদ্যান অংশে ধুলাবালি দেখেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই অংশ দেখে মনে হচ্ছে বালির মাঠে চলে আসছি। আশা করবো বাংলা একাডেমি মেলা অংশ ধুলাবালিমুক্ত, নান্দনিক ও বই পড়ার মতো একটা গাম্ভীর্যের পরিবেশ আনবে।’ বাংলা একাডেমি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ মার্চ) থেকে বইমেলার তথ্যকেন্দ্র চালু হবে। বইয়ের আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শুরু হবে।