ইরান-সমর্থিত লেবাননের হিজবুল্লাহ সংগঠন ইসরায়েলের একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে চালানো ওই হামলায় কমপক্ষে ১৪ সেনা আহত হয়েছেন। লেবাননে ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে বুধবার ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় ওই হামলা হয়।হিজবুল্লাহ বলছে, তারা লেবানন সীমান্তের কাছে উত্তর ইসরায়েলের আরব-সংখ্যাগরিষ্ঠ গ্রাম আরব আল-আরামশে একটি নতুন সামরিক কমান্ড সেন্টারে ক্ষেপণাস্ত্র এবং বিস্ফোরক ড্রোন দিয়ে সম্মিলিতভাবে হামলা চালিয়েছে।অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, আহত ছয় সেনার অবস্থা গুরুতর। ইসরায়েল এর আগে মঙ্গলবার লেবাননের দক্ষিণে বিমান হামলা চালায়। এতে তিনজন নিহত হয়। তাদের মধ্যে হিজবুল্লাহর একজন ফিল্ড কমান্ডার ইসমাইল ইউসেফ বাজও ছিলেন বলে জানা গেছে। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা হিজবুল্লাহর দুই কমান্ডার এবং আরও এক সহযোগীকে হত্যা করেছে।
এর আগে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের দিকে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বিমান হামলার সাইরেন সক্রিয় করা হয়েছে।এর আগে ইরান থেকে কয়েকশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন দিয়ে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইরান।
সম্প্রতি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ১৩ জনকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দামেস্কে গত ১ এপ্রিলের ওই হামলার পরপরই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তারা।
তবে শনিবার রাতে হামলায় অংশ নেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর আগেই প্রায় সবগুলো অস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করেইরানের ছোড়া ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্রের ৯৯ শতাংশই ভূপাতিত করার দাবি করেছে ইসরায়েল। তবে এই হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।ছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং এর মিত্রবাহিনী।এদিকে ইরানের হামলার পর থেকেই চাপে আছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ইরানের হামলার জবাব কিভাবে দেওয়া হবে সে বিষয়ে দেশের অভ্যন্তরে এবং দেশের বাইরে থেকে তার ওপর চাপ বাড়ছে। সবকিছু মিলিয়ে বেশ জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।