ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা আগেই জানিয়েছিলেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। এবার তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস এবং নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গার স্টোর।শুক্রবার নরওয়ের রাজধানী অসলোতে এক বৈঠকে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই তিন ইউরোপীয় দেশের নেতারা। বৈঠক শেষে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে স্পেন ও নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জানান, মাদ্রিদ ও অসলো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে আগ্রহী প্রস্তুত। আমরা আজকের বৈঠকে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছি এবং এ বিষয়ে এক সঙ্গে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে নরওয়ের সম্পৃক্ততা আরও আগের। ১৯৯০ সালে নরওয়ে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনার আয়োজন করেছিল যা পরবর্তীতে আসলো অ্যাকর্ডে রূপ নেয়। খবর আল জাজিরা
অপর দিকে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমোন হ্যারিস বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে নিজেদের জন্য একটি রাষ্ট্র এবং সার্বভৌমত্বের দাবি জানিয়ে আসছেন। বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন জাতি যে সম্মান-মর্যাদা ভোগ করছে, ফিলিস্তিনের জনগণের জন্যও তা প্রাপ্য। ডাবলিন ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়ে চায় এবং সেই সঙ্গে আশা করে, ইউরোপের অন্যান্য রাষ্ট্রগুলোও এই পথ অনুসরণ করবে।
গত মাসে স্পেন এবং আয়ারল্যান্ড, মাল্টা ও স্লোভেনিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ঘোষণা দিয়েছিল তারা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে এক সঙ্গে কাজ করতে চায়। তারা জানিয়েছিল এই স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে তারা প্রস্তুত তবে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করেননি পরিস্থিতি অনুকূলে আসলেই তা করা হবে।