কানাডার নির্বাচনে নাকি হস্তক্ষেপ করেছিল ভারত। শুধু তারা নয়, পাকিস্তানকেও কাঠগড়ায় তোলা হয়েছিল। সম্প্রতি এমনই দাবি করেছিলেন কানাডার গোয়েন্দারা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায় বিশ্বে। তা নিয়ে শুরু হওয়া তদন্তে দেখা গেল অন্য বিষয়। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ভারত বা পাকিস্তান নয়, বরং নির্বাচনে চিনের হস্তক্ষেপ থাকতে পারে!নির্বাচন নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল কানাডা প্রশাসন। সেই তদন্তে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত একাধিক আধিকারিককে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদও করেন গোয়েন্দারা। তাঁদের দেওয়া এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, কানাডার রাজনীতি বা নির্বাচনে ভারত হস্তক্ষেপ করার কোনও চেষ্টা করেনি। উল্লেখ্য, কানাডার নিরাপত্তা বিষয়ক গোয়েন্দা সংস্থা (সিএসআইএস) সম্প্রতি একটি তদন্ত রিপোর্টের নির্যাস প্রকাশ করে, যাতে ২০১৯ এবং ২০২১-এর সাধারণ নির্বাচনে যথাক্রমে পাকিস্তান এবং ভারত গোপনে সক্রিয় ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। তারা কানাডার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চেয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের দাবি ছিল। তাঁদের বক্তব্য, ২০২১ সালে ভারত সরকার কানাডার ভারতীয়-অধ্যুষিত নির্বাচনী এলাকাগুলি নিয়ে আলাদা করে নজরদারি চালিয়েছিল। খলিস্তানপন্থী এবং পাকিস্তানপন্থী ভোটারদের উপরে নজর ছিল। প্রক্সি এজেন্ট তৈরি করে অর্থের বিনিময়ে জনমত ঘোরানোর চেষ্টাও হয়েছিল বলে কানাডা দাবি করেছিল।ভারত অবশ্য গোড়া থেকেই এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘কানাডীয় কমিশনের তদন্ত বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে জেনেছি। কানাডার নির্বাচনে ভারতীয় হস্তক্ষেপের ভিত্তিহীন অভিযোগ আমরা জোরালো ভাবে অস্বীকার করছি। অন্য দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করা ভারতের নীতি নয়। বরং উল্টোটাই সত্যি। কানাডাই আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়ে আসছে।’’তবে এ বার তদন্তে উঠে এল অন্য ছবি। সরকারি তদন্তের সাক্ষ্য হিসাবে যা মিলেছে তা সামনে রেখে দাবি করা হয়, কানাডার গত দুই নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছে চিন! খলিস্তানি জঙ্গি নেতা নিজ্জর হত্যায় ভারতের হাত রয়েছে বলে স্বয়ং ট্রুডো অভিযোগ করার পর থেকেই দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কে অবনতি হয়েছে। তার মধ্যেই নতুন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর থেকে দু’দেশের সম্পর্ক নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়।