ঢাকা, শুক্রবার ৩ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

কেরানীগঞ্জে অজ্ঞানপার্টির ১৭ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোটার।। দৈনিক সমবাংলা

2024-03-25, 12.00 AM
কেরানীগঞ্জে অজ্ঞানপার্টির ১৭ জন গ্রেফতার

কেরানীগঞ্জে আন্তঃজেলা অজ্ঞানপার্টির ১৭ সদস্য গ্রেফতার ও ১০ টি চোরাই অটোরিকশা ও ০১ টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি হাইয়েস মাইক্রো জব্দ করেছে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো - কবির  রিপন (৪০),  জামাল (৩২),  রুবেল (৩০), আলমগীর (৩৮), ইরফান (৭৫),  মোকসেদ (৪৫), ইউনুস (৪৫), নেসার আলী (৪০), ৯। বোরহান (৪০), হাসান (৩৮), সাব্বির শেখ (২৬), আজিজুল (৪০), সুমন (২৪),  লিটন (৪৮),  সাদ্দাম (৩০), ১ তোফাজ্জল টপ্পা (৪৫) ও  মৌহন চন্দ্র (৩৬)। ২৪ মার্চ রবিবার এক প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে তথ্য নিশ্চিত করেন  ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান পিপিএম (বার) তিনি বলেন, গত ০৯ মার্চ ফরহাদ মিয়া (২২) অটো রিক্সা চালানোর জন্য দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন আব্দুল্লাহপুর বাজারে যায়। সেখান থেকে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা ফরহাদ মিয়ার অটো ভাড়া করে রাজেন্দ্রপুরে র‍্যাব-১০ এর পার্শ্বে ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের আন্ডারপাসের সামনে পৌছালে তাদের আরো লোক আসবে বলে অটো থামাতে বলে। তারপর অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা কৌশলে অটোচালক ফরহাদের নাকের সামনে চেতনানাশক মেশানো রুমাল ধরে রাখার কিছুক্ষনের মধ্যে ফরহাদ মিয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের আন্ডারপাসে রোডের পার্শ্বে ফেলে দিয়ে তার মিশুক অটো ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন করেন।

তিনি আরোও বলেন,  এবং ১২ মার্চ  ইন্দ্রজিৎ চন্দ্র (৪০) এবং ১৩  আশিকুর রহমান (২৫) কে একই ভাবে ভারা করে নিয়ে মুখে রুমাল ধরে তাদের অটো রিক্সা নগদ টাকা নিয়ে যায়। 

এ ধরনের অটো ছিনতাই এর ঘটনার পর জনাব শাহাবুদ্দীন কবির বিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, কেরাণীগঞ্জ সার্কেল এর নেতৃত্বে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার একটি চৌকস তদন্ত টিম সংঘবদ্ধ এই অজ্ঞানপার্টিকে ধরার জন্য ব্যাপক কার্যক্রম শুরু করে। তদন্ত টিম প্রতিটি ঘটনার প্রকৃতি ও যোগসূত্র বিচার বিশ্লেষন করে তথ্য সংগ্রহ করে। ঘটনাস্থলের সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে। তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের সনাক্ত পূর্বক তাদের অবস্থান নির্নয় করে।  কেরাণীগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়া এবং ডিএমপির বিভিন্ন এলাকা হতে ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে  আসামীদের  গ্রেফতার করে ।  গ্রেফতারকৃত আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, কবির ও জামাল তাদের লিডার। তাদের ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলায় বিস্তৃত নেটওয়ার্ক আছে। তারা দীর্ঘদিন যাবত কেরাণীগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, সাভার ও কামরাঙ্গীরচর এলাকায় চালককে অজ্ঞান করে অটো ছিনতাই করে আসছে। চালককে অজ্ঞান করার জন্য তারা চেতনানাশক গ্যাস (ক্লোরোফর্ম) মেশানো রুমাল ব্যবহার করে। কেননা জুস বা বিস্কুট খাইয়ে চালককে অজ্ঞান করতে গেলে বেশীর ভাগ চালক সচেতন হওয়ায় খেতে চায় না ফলে তাদের কাজ ভেস্তে যায়। তাই তারা নিরিবিলি স্থানে গিয়ে রুমাল ব্যবহার করে। আসামীদের নামে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত আছে।