প্রেমিকের আশায় স্বামী-সন্তান খোয়ালেন আদুরী। পরকীয়া প্রেমিকের ভালোবাসায় মগ্ন হয়ে তিন বছরের শিশুকন্যা ও পাঁচ বছরের সংসার ভেঙেছে বরিশালের কড়াপুর ইউনিয়নের এক গৃহবধূর। ইচ্ছে ছিল পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাধবেন তিনি। কিন্তু স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে চলে যাওয়ার এক ঘণ্টার মাথায় ওই গৃহবধূকে রাস্তায় রেখে পালিয়েছেন প্রেমিক নিজেও। সব হারিয়ে বিচারের দাবিতে থানার বারান্দায় বারান্দায় ঘুরছেন ওই নারী।জানা গেছে, পাঁচ বছর ধরে সম্পর্ক ছিল প্রেমিক ইমন ও গৃহবধূ আদুরীর। ইমন বেকার থাকায় আদুরীকে অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয় পরিবার। কিন্তু বিয়ের পরেও স্বামী ও প্রেমিকের সঙ্গে সমানভাবেই সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন আদুরী। গত ১৬ মার্চ বাকেরগঞ্জের স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূ আদুরি প্রেমিক ইমনের সঙ্গে পালিয়ে আসার সময় স্থানীয়রা তাদের আটক করে থানায় দেয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসায় বসলে স্বামী-সন্তান রেখে প্রেমিক ইমনের সঙ্গে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানান গৃহবধূ। এরপর প্রেমিকের সঙ্গে বরিশাল নগরের উদ্দেশে রওয়ানা দিলে গৃহবধূকে রাস্তায় রেখে পালিয়ে যান প্রেমিক ইমন।
আর তখনই বাধে বিপত্তি। আদুরী ইমনকে খুঁজে না পেয়ে ৯৯৯ এ কল দিয়ে সহায়তা চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে। সেখান থেকে বের হয়ে বিয়ের দাবিতে আদুরী হাজির হন নগরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সর্দার পাড়া এলাকার ইমনের বাসায়। আদুরীর দাবি, স্বামী-সন্তানকে ছেড়ে এসে ইমনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি।
এমন সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখেই চড়া হন ইমনের দুলাভাইসহ তার পুরো পরিবার। এ সময় ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলের সমন্বয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করা হয়। তবে মীমাংসা না হওয়ায় পুলিশ এসে আদুরীসহ প্রেমিক ইমনের দুলাভাইকে বাড়ি থেকে থানায় নিয়ে যায়।আদুরীর মা জানান, মেয়েকে আর ঘরে তুলে নেবেন না তিনি। স্বামী-সন্তান ছেড়ে প্রেমিকের কাছে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না তিনি। আদুরী ও ইমনের এ প্রেম কাহিনীকে ধিক্কার জানাচ্ছেন ইমনের প্রতিবেশীরা। তারা বলছেন, দুজনকে কঠিন শাস্তি দেওয়া উচিত।
ইমনে বাসা থেকে আদুরীকে উদ্ধার করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ দুই পক্ষকে বাকেরগঞ্জ থানায় হাজির করে। পরে আদুরীর মা বাকেরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে প্রেমিক ইমনের দুলাভাই মেহেদি হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন। এ ঘটনায় এখনও পলাতক রয়েছেন প্রেমিক ইমন। আদুরীর বিয়ের পর তিনি সৌদি আবার চলে যান। পাঁচদিন আগে দেশে ফিরে এ ঘটনা ঘটান প্রেমিক ইমন।
