ঢাকা, শনিবার ২৭ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী আটক

আরাফাতুুল হক চৌধুরী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা

2024-03-17, 12.00 AM
অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠী আটক

আরাফাতুল হক চৌধুরী, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এই দুইজনকে নজরদারিতে রাখা হয়ছিল। তারা পুলিশের হেফাজত রয়েছেন।কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, ঘটনার পর থেকে কুমিল্লা পুলিশের একটি টিম ডিএমপির সঙ্গে কাজ করছিলো। যেহেতু এ ঘটনায় কুমিল্লায় মামলা হয়েছে তাদের এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি।


ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।’


এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা। আরাফাতুল হক চৌধুরী, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয়েছে। আটকের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে এই দুইজনকে নজরদারিতে রাখা হয়ছিল। তারা পুলিশের হেফাজত রয়েছেন।কুমিল্লার পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, ঘটনার পর থেকে কুমিল্লা পুলিশের একটি টিম ডিএমপির সঙ্গে কাজ করছিলো। যেহেতু এ ঘটনায় কুমিল্লায় মামলা হয়েছে তাদের এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।


এর আগে অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় নিজের কোনো দায় নেই বলে দাবি করেছেন দ্বীন ইসলাম। নিজ এলাকার মানুষ হওয়ায় অবন্তিকা ও তার পরিবারকে যথেষ্ট সহায়তা করেছেন জানিয়ে দ্বীন ইসলাম বলেন, অফিশিয়ালি যে দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে অনুযায়ী তা পালন করেছেন তিনি।


ফেসবুক স্ট্যাটাসে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে অভিযুক্ত করে আত্মহত্যার ঘটনায় সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ করে বিবৃতিও দেন সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম।

ওই বিবৃতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের এই সহকারী অধ্যাপক বলেন, ‘একজন শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকা এবং তাদের জন্য কাজ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধুমাত্র স্ট্যাটাসের ওপর ভিক্তি করে কাউকে ভুল না ভাবার অনুরোধ রইল। আমাদের স্নেহের শিক্ষার্থী অবন্তিকা হয়তো দীর্ঘদিন যাবৎ কোনো মানসিক চাপে ছিল। সেটা হয়তো তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই। এই অপ্রত্যাশিত ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার জন্য আমি সবিনয়ে প্রস্তুত। সঠিক তথ্য জেনে সিদ্ধান্ত এবং মন্তব্য করার অনুরোধ রইল।’


এদিকে, অবন্তিকার মৃত্যুর জন্য দায়ীদের বিচারসহ ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল শেষে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারা বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দাবি মানা না হলে, সোমবার (১৮ মার্চ) উপাচার্যের কার্যালয় ঘেরাও করা হবে।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাত ১০ টায় কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা। এর কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন তিনি। সেখানে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে দায়ী করে যান অবন্তিকা।