ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

প্রাচ্যর সংযোগস্থল হিসেবে এগিয়ে যাবে দেশ

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-03-10, 12.00 AM
 প্রাচ্যর সংযোগস্থল হিসেবে এগিয়ে যাবে দেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংযোগস্থল হিসেবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে কোস্টগার্ডকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন সরকারপ্রধান।রবিবার (১০ মার্চ) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্টগার্ডের ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।   কোস্টগার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে এভিয়েশন ইউনিট গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জনকে বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। পঁচাত্তরের পর কোনো সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সরকারপ্রধান। দেশ ও দেশের অর্থে কেনা প্রতিটি জিনিসের যতœ নিতে কোস্টগার্ডের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের নবনির্মিত ৬টি ভৌত অবকাঠামো (বিসিজি স্টেশন কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, নিদ্রাসকিনা ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী) এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় পরিচালিত কোস্টগার্ডের সদর দফতরসহ তিনটি জোন, ছয়টি জাহাজ এবং সাতটি স্টেশনে নব সংযোজিত উন্নত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি- ভি-স্যাটনেট যোগাযোগব্যবস্থা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।অনুষ্ঠানে উন্নয়ন, সাহসী অপারেশন ও সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্বীকৃতি স্বরূপ কোস্টগার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তার হাতে পদক তুলে দেন সরকারপ্রধান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

 

কোস্ট গার্ড পদক পেলেন ৪০ জন সদস্য

 

বীরত্ব ও সাহসিকতার জন্য কোস্ট গার্ড পদক পেয়েছেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ৪০ জন্য সদস্য। 

 

রবিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাহিনীটির ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই পদক তাদের হাতে তুলে দেন।

 

কোস্ট গার্ড জানায়, এবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক ১০ জন, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক ১০ জন, প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক ১০ জন এবং প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড (সেবা) পদক ১০ জনসহ মোট ৪০ জনকে পদক দেওয়া হয়।

 

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক পেয়েছেন-

 

কমডোর মোহাম্মদ মঈনুল হাসান, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মনজুর-উল-করিম চৌধুরী, ক্যাপ্টেন ফাইজ উদ্দিন আহমেদ, লে. কমান্ডার মো. রেদোয়ান উল ইসলাম, লে. কমান্ডার আব্দুর রহমান, লে. এম হাসান মেহেদী, লে. মাশহাদ্ উদ্দিন নাহিয়ান, লে. কে এম শাফিউল কিঞ্জল, এম তৌহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুজ্জামান।

 

প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক পেয়েছেন-

 

ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কিবরিয়া হক, কমান্ডার এ কে এম মিজানুর রহমান, লে. কমান্ডার সোহেল মোল্লা, লে. কমান্ডার মো. আশিক আহমেদ, লে. কাজী আল-আমিন, লে. শামস্ সাদেকীন নির্নয়, লে. কাজী আকিব আরাফাত, এম নজরুল ইসলাম, নাসিফুর রহমান, আব্দুল মান্নান।

 

বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পদক (সেবা) পেয়েছেন-

 

কমডোর (বর্তমানে রিয়ার এডমিরাল) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মোসায়েদ হোসেন, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শরীফুল হক খান,ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, লে. কমান্ডার কাজী মো. জাহেদুল ইসলাম, অ. সা. লে. এম রোকন উদ্দিন, এম মাহবুব আলম, সজিবুজ্জামান জনি, মো. সিদ্দিকুর রহমান, এম জাহাঙ্গীর আলম।

 

প্রেসিডেন্ট কোস্ট গার্ড পদক (সেবা) পেয়েছেন-

 

ক্যাপ্টেন (বর্তমানে কমডোর) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ হাবিবুল বিল্যাহ, কমান্ডার আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শামীম, কমান্ডার আবু তাহের মোহাম্মদ আতিকুল্যাহ, লে. ফারাব্বী সাদিক শুভ, এম জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, শাহিনুল ইসলাম, ইছানুর রহমান, কামাল হোসেন চৌধুরী।

 

উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড বর্তমানে দেশের বিশাল সমুদ্র ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের সমুদ্রসীমা ও উপকূলীয় এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা নিশ্চিতকরণ, জনগণের জানমাল রক্ষা, চোরাচালান, মাদক ও মানব পাচার দমনের পাশাপাশি নানাবিধ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ত্রাণ ও সহায়তা প্রদানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড মানুষের মাঝে নিরাপত্তা ও আস্থার বিশ্বস্ত প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এছাড়া কোস্ট গার্ডের নিরলস প্রচেষ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর ঝুঁকিপূর্ণ বন্দরের তালিকা থেকে বের হয়ে একটি নিরাপদ বন্দরে পরিণত হয়েছে।

 

কোস্টগার্ডকে ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে এভিয়েশন ইউনিট গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

 

প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জনকে বিশ্বের জন্য দৃষ্টান্ত বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। পঁচাত্তরের পর কোনো সরকার এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন সরকারপ্রধান।

 

দেশ ও দেশের অর্থে কেনা প্রতিটি জিনিসের যতœ নিতে কোস্টগার্ডের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে কোস্টগার্ডের নবনির্মিত ৬টি ভৌত অবকাঠামো (বিসিজি স্টেশন কুতুবদিয়া, মহেশখালী, মিরসরাই, সন্দ্বীপ, নিদ্রাসকিনা ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরী) এবং বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সহায়তায় পরিচালিত কোস্টগার্ডের সদর দফতরসহ তিনটি জোন, ছয়টি জাহাজ এবং সাতটি স্টেশনে নব সংযোজিত উন্নত নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি- ভি-স্যাটনেট যোগাযোগব্যবস্থা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

 

অনুষ্ঠানে উন্নয়ন, সাহসী অপারেশন ও সেবামূলক কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় স্বীকৃতি স্বরূপ কোস্টগার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪০ জন কর্মকর্তার হাতে পদক তুলে দেন সরকারপ্রধান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।