ঢাকা, শুক্রবার ১৯ই এপ্রিল ২০২৪ , বাংলা - 

২৯ মার্চ সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত

স্টাফ রিপোর্টার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2021-03-14, 12.00 AM
২৯ মার্চ সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত

বাংলাদেশে ২৯ মার্চ, সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালন করা হবে। মুসলিম উম্মাহর কাছে রাতটি অত্যন্ত বরকত ও ফজিলতপূর্ণ। রোববার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর আগে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি ১৪৪২ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা ও শবে বরাতের তারিখ নির্ধারণে বৈঠকে বসে কমিটি। বৈঠকে জানানো হয়, রোববার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে কোথাও পবিত্র শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে আগামী ২৯ মার্চ, সোমবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নূরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিবাগত রাত) শবে বরাত পালিত হয়। ভারতীয় উপমহাদেশে ‘ভাগ্য রজনী’ হিসেবে পরিচিত লাইলাতুল বরাতের পুণ্যময় রাতটি বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াতসহ ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে কাটান।

অনেকে গভীর রাত অবধি ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থেকে শেষ রাতে সেহরি খেয়ে পরদিন নফল রোজা রাখেন। শাবান মাস থেকেই রমজানের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন মুসলমানরা। রমজানের পর শাবান মাস ইবাদাতের উত্তম সময়। শাবান মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ রোজা রাখলে আইয়ামে বিজের রোজার সঙ্গে শবে বরাতের রোজার পুণ্য হয়ে যাবে। এ ছাড়া মাসের শুরুতে, মাঝে ও শেষে রোজা রাখা ফজিলতপূর্ণ আমল।

শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। এবার এ ছুটি পড়েছে ৩০ মার্চ (মঙ্গলবার)।

হাদিসের ভাষায় এ রাতকে ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’ তথা পনেরো শাবানের রাত বলা হয়। ‘শবে বরাত’ শব্দটি ফার্সি শব্দ। ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত, ‘বরাত’ অর্থ নাজাত বা মুক্তি। এই দুই শব্দ মিলে অর্থ হয় মুক্তির রজনী। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে কোরআন মাজিদে সরাসরি নির্দেশনা না থাকলেও হাদিস শরিফে নির্ভরযোগ্য বর্ণনাসূত্রে একাধিক হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

বিখ্যাত সাহাবি হজরত মুয়াজ বিন জাবাল (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহতায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে অর্থাৎ শাবানের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতে তার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। -ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫

শাবান মাস শেষে মুসলিমদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বার্তা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান।