বিএনপির রাজনীতি কোনো বিদেশি শক্তির অঙ্গুলি হেলনে নয়, যেটা সরকার করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করি, বিদেশকে নিয়ে রাজনীতি করি না।বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে শ্রদ্ধা ও ফাতিহা পাঠ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এরআগে সকাল থেকে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা স্লোগান দিতে দিতে প্রবেশ মাজারে। "জিয়া তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরণে" "লাল সবুজের পতাকায়, জিয়া তোমায় দেখা যায়" নানা রকম স্লোগান দিতে দেখা যায়। এসময় বিএনপির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক জেড রিয়াজ উদ্দিন নসু, মতস্যজীবী দলের সদস্য সচিব মো. আবদুর রহিম, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক পাটোয়ারী, অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, নাদিম চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।ড. আবদুল মঈন খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ঐক্যের রাজনীতি করেছেন, বিভাজনের রাজনীতি করেননি। যেটা আজকে আওয়ামী লীগ করছে। আওয়ামী লীগ দেশের মধ্যে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও বিপক্ষের বলে বিভেদ তৈরি করে আজীবন ক্ষমতায় থেকে শাসন করতে চায়। তারা ক্ষমতার লোভে বিভাজনের মাধ্যমে এই জাতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আসুন আমরা নতুন করে একসঙ্গে শান্তিপূর্ণ, নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক হানাহানি এবং দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে আদর্শ সেটিতে দীক্ষিত হয়ে এ দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।
ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান পূর্ণব্যক্ত করে মঈন খান আরও বলেন, বাংলাদেশ যে আদর্শ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছিল, সেই আদর্শ থেকে সরকার অনেক দূরে সরে গেছে। ২৮ অক্টোবরের পর আমাদের ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করে সরকার একদলীয় ভাবে সাজানো নাটক মঞ্চায়িত করেছে।
তিনি বলেন, বাংলদেশকে ভবিষ্যতে সত্যিকারভাবে একটি গণমানুষের দেশ হিসেবে পুনরায় সৃষ্টি করতে হয়। আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ভুলে যেতে হবে। বর্তমান সরকার দেশে ২২০টি পরিবার সৃষ্টি করে একটি গণতন্ত্রের পরিবর্তে একটি অলিগার (লুটেরা-চোর) সৃষ্টি করেছে। যারা দেশের সম্পদ কুক্ষিগত করে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এ অবস্থা থেকে আমরা মুক্তি চাই বলে দাবি করেন মঈন খান।