রাজবাড়ী জেলা সদরের চরলক্ষীপুর গ্রামের প্রবাসী মো: খায়রুল খানের স্ত্রী রেহানা পারভীন কর্তৃক আদালতে মামলা দায়েরের পরে আদালত থেকে রেহানা পারভীন রায় ( ডিক্রী৷) পাওয়ার পর বিরোধকৃত জমিতে জোর প্র্বূক রাস্তা নির্মান করার অভিযোগে একই গ্রামের মো: জলিল ফকিরের ছেলে মো: রোকন ফকির ও খোকন ফকির গংদের বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি আবেদন পত্র পেশ করেছেন প্রবাসী খায়রুল খানের স্ত্রী রেহানা পারভীন।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে পেশকৃত আবেদন পত্রে প্রবাসীর স্ত্রী রেহানা পারভীন দাবী করেন যে, রাজবাড়ী সদর উপজেলার চরলক্ষীপুর গ্রামের রোকন ফকির গংরা ৩/৪ বছর আগে সদ্য অতিসম্প্রতি রাস্তা নির্মান করা জমিটি জোর পৃর্বক দখলের চেষ্টা করেছিল। এ সময় আমি বাদী হয়ে রোকন ফকির গংদের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে ২৫/২১ দেওয়ানী মামলা দায়ের করার পর বিজ্ঞ আদালত ১৯/০৬/২৩ ইং তারিখে আমার পক্ষে রায় ( ডিক্রী ) প্রদান করেন। এরপর উল্লেখিত উক্ত রোকন ফকির গংরা আমার উক্ত ডিক্রী প্রাপ্ত জমিতে গত ০৯/০২/২৪ ইং তারিখে জোর পূর্বক রাস্তা নির্মান করতে গেলে আমার বাধা প্রদান করি। এ সময় রোকন ফকির গংরা আমাদের মারপিট করে। মারপিটের আঘাতে আমার ননদ রহিমার মাথা ফেটে যায়।
এ ঘটনার পর থানা পুলিশের কাছে গিয়ে জানানোর পরও কোন সুফল পায়নি। আদালতের আদেশ অমান্য করে আমার পক্ষে ডিক্রী প্রাপ্ত জমিতে রোকন ফকির গংরা জোর পূর্বক রাস্তা নির্মান করেছে। বর্তমানে তাদের ভয়ে আমি আমার ২ মেয়ে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি। শুধু তাই না আমার মেয়ে নুসরাত জাহান মনিরার কলেজে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেছে। পরীক্ষা পর্যন্ত দিতে পারে নাই। বর্তমানে রোকন গংদের ভয়ে চরম ভাবে ২ মেয়ে নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
তাই এমতাবস্থায় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ঘটনাটি তদন্ত পূর্বক ন্যায় বিচারের জন্য দাবি জানাচ্ছি।