ঢাকা, মঙ্গলবার ৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বিতর্কিত ব্যাক্তি নিয়োগ নয়

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-02-20, 12.00 AM
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে বিতর্কিত ব্যাক্তি নিয়োগ নয়

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (বিজি) ডা. এমদাদুল হক তালুকদারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে মার্চে। এরমধ্যেই নতুন ডিজি নিয়োগের তৎপরতা শুরু হয়েছে‌। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে নতুন ডিজির নাম ঘোষণা হতে পারে। আগের ডিজি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাবেন, নাকি নতুন করে কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়নে বিতর্কিত কোনো কর্মকর্তা যেন ডিজি হিসেবে নিয়োগ না পান সে দাবি জানিয়েছেন এ খাতের সংশ্লিষ্টরা। সংশ্লিষ্টরা জানান, বর্তমান ডিজি এমদাদুল হক তালুকদারের মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। অন্যদিকে ডিজি নিয়োগের তালিকায় এগিয়ে আছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক। তবে তার বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে দীর্ঘদিন ধরে অস্বস্তিতে আছেন এখাতের সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকাকালে সেখানে দুর্নীতির জাল বসিয়েছিলেন তিনি। দরপত্র ও নিয়োগে অনিয়মের খবর তখন বেশ আলোচিত ছিল। তার হাত ধরে বাংলাদেশে অবৈধভাবে মাংস আমদানি শুরু হয়। ভুয়া সনদ দিয়ে মাংস আমদানিকারকদের সবসময় তিনি সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের তদন্তে সেসব অভিযোগ প্রমাণও হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতের সংগঠন এ্যাব (এগ্রিক্যালচারিষ্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) এর প্রথম শ্রেণীর নেতা প্রাণিসম্পদ রেয়াজুল হক জসিম বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা কালিন শহীদ সামছুল হক হলের ১৯৮৫-৯১ সাল পর্যন্ত আবাসিক ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া কালিন ছাত্রদলের অতি বিধ্বংসী আর্মস ক্যাডার ছিলেন। বর্তমানে প্রশাসন ও বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিসে চাকুরী করেন এমন অনেকে ডা.মো.রেয়াজুল হক জসিম এর দ্বারা শাররীক ভাবে নির্যাতিত হয়েছেন । অনেকের হাত পা ভেঙে ফেলেছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. মো. রেয়াজুল হক জসিম নন ক্যাডার একজন কর্মকর্তা হিসাবে কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালে প্রথম চাকরিতে প্রবেশ করেন। কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালে চাকুরীকালিন সময়ে স্বাধীনতার বিপক্ষের পেশাজীবি (বিএনপি ও জামায়াতের ) সংগঠন এ্যাব (এগ্রিক্যালচারিষ্ট এসোসিয়েশন অবকে বাংলাদেশ) সংগঠিত করার কাজে দায়িত্ব পালন করেন। ডা.মো.রেয়াজুল হক জসিম এসব কাজের পুরষ্কার হিসাবে কোন বিসিএস ছাড়াই বিশেষ বিসিএস কর্মকর্তা হিসাবে পদায়ন হন।  

মহাপরিচালক নিয়োগে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের স্বাধীনতার স্বপক্ষের কর্মকর্তা-কর্মচারী নের্তৃবৃন্দ মনে করেন, সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যহত রাখা, অধিদপ্তরের চাহিদা মোতাবেক ডিপার্টমেন্টের উন্নয়ন, উৎপাদন প্রবাহ অব্যহত রাখা এবং নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ উৎপাদন বৃদ্ধি, নতুন নুতন কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যোগ্য ব্যক্তিকে মহাপরিচালক নিয়োগ প্রদান করা হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ডিজি নিয়োগের বিষয়ে যাদের নাম এসেছে। সবার বিষয়ে মন্ত্রণালয় খোঁজখবর নিয়েছে। এমন কোনো কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে না, যার বিষয়ে বিতর্ক আছে।