জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাভার-আশুলিয়ার জনগণের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। নির্বাচনে জয়লাভের পর সোমবার সংসদে গিয়ে প্রথমেই স্বাস্থ্যখাত নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশন চলাকালীন কথা বলার সুযোগ পেলে তিনি সাভারের পুরোনো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের শয্যা বৃদ্ধি ও নতুন আরেকটি হাসপাতাল স্থাপনেরও দাবি জানান। সংসদে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এমপি বলেন, আমার নির্বাচনি এলাকা ঢাকা-১৯, রাজধানী ঢাকার একটি অংশ এবং শিল্প এলাকা হিসাবে খ্যাত সাভার ও আশুলিয়া থানা নিয়ে গঠিত। গত ২০২২ সালের জনশুমারি মতে, সাভার উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২৪ লাখ ৩০৮ জন। সাভার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিদ্যমান শয্যা সংখ্যা মাত্র ৫০টি। জনসংখ্যা অনুযায়ী এই সংখ্যা ২শ’ শয্যায় উন্নিতকরণ অতীব জরুরি। দেশি-বিদেশি কয়েকশ শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিয়ে দেশের বৃহত্তম ঢাকা-ইপিজেড আমার নির্বাচনি এলাকায় অবস্থিত এবং ইপিজেডের বাহিরেও দেশি-বিদেশি প্রায় এক হাজার শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যেখানে কর্মরত লক্ষ লক্ষ শ্রমিক।
এসময় তিনি আরও বলেন, বর্তমান জনবান্ধব সরকার স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। আমার এলাকায় স্থানীয় জনগণ এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে বিদ্যমান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংখ্যায় অপ্রতুল।
এমপি সাইফুল ইসলাম বলেন, ঢাকা-১৯ শিল্প অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় সাভার থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ২শ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নিতকরণ এবং আশুলিয়া থানায় ১শ শয্যা বিশিষ্ট আরও একটি নতুন হাসপাতাল স্থাপিত হলে স্থানীয় জনগণসহ লক্ষ লক্ষ শ্রমিক উপকৃত হবে। জনস্বার্থে বিষয়টি অতীব জরুরি এবং গুরুত্বপূর্ণ বিধায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। বক্তব্য শেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিনকে ধন্যবাদ জানান তিনি।