ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

ইমরান খানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কি শেষ?

আর্ন্তজাতিক রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-02-01, 12.00 AM
ইমরান খানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কি শেষ?

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই নেতা ইমরান খানকে তোশাখানা মামলায় গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাজা পেয়েছেন তার স্ত্রী বুশরা বিবিও। এর মাত্র একদিন আগে সাইফার মামলায় ইমরান ও তার দলের আরেক শীর্ষ নেতা পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন পাকিস্তানি আদালত।দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। তার মাত্র সপ্তাহখানেক আগে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) শীর্ষ নেতাদের এমন দণ্ডাদেশ কী প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কারাদণ্ডের রায় ইমরান খান ও তার দলের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর কী প্রভাব ফেলতে পারে-

১. আগেই একটি দুর্নীতি মামলার রায়ে ইমরান খান পাঁচ বছরের জন্য যেকোনো সরকারি পদে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন। এ কারণে আগামী সপ্তাহের নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।

 

২. বুধবারের রায়ে সরকারি পদে ইমরান খানের নিষেধাজ্ঞা বেড়ে ১০ বছর হয়েছে। অর্থাৎ, ২০৩৪ সালের আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে ফের বসতে পারবেন না তিনি।

৩. গত আগস্ট মাস থেকে জেলে রয়েছেন ৭১ বছর বয়সী ইমরান। তবে কারাদণ্ড পাওয়ার ফলে জেল থেকে বেরিয়ে দলের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকলো না তার।

 

৪. ইমরান খানের অনুপস্থিতি এরই মধ্যে পিটিআই’কে বিশৃঙ্খল অবস্থায় ফেলেছে। তার অনেক সহযোগী জেলে অথবা পলাতক রয়েছেন এবং আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে অনেকে তার সঙ্গ ত্যাগ করেছেন।

৫. আগামী সপ্তাহের নির্বাচনে পিটিআই’র সমর্থনপ্রাপ্ত অনেক প্রার্থীই লড়াই করবেন। তবে ইমরান খানের অনুপস্থিতিতে দলের ভার বহনের মতো বড় কোনো রাজনৈতিক নেতার নাম সেখানে দেখা যাচ্ছে না।

৬. বর্তমানে সাময়িকভাবে পিটিআই’র নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্বল্পপরিচিত আইনজীবী গহর আলী খান। তিনি ইমরানের আইনি পরামর্শকও।

৭. গত ১৪ জানুয়ারি পাকিস্তানি আদালত জানায়, পিটিআই তার ঐতিহ্যবাহী ব্যাট প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে পারবে না। অর্থাৎ, এবারের নির্বাচনে দলটির প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে লড়বেন।

 

৮. নির্বাচনে যদি পিটিআই সমর্থিত প্রার্থীরা জিতেও যান, তবু স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ায় দলটির পাশে থাকতে বাধ্য থাকবেন না তারা। এসব সংসদ সদস্য চাইলেই অন্য দলে যোগ দিতে পারবেন।

৯. নির্বাচনের পর সরকার গঠনের জন্য পার্লামেন্টে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী যেকোনো দলের জন্য বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন গুরুত্বপূর্ণ হবে।

১০. পিটিআই’কে সমর্থনের বাধ্যবাধকতা এবং ইমরান খান খুব শিগগির ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা না থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অন্য দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।