ঢাকা, মঙ্গলবার ৩ই ডিসেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু,৫ জনের নামে মামলা

ষ্টাফ রিপোটার।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2024-01-31, 12.00 AM
পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু,৫ জনের নামে মামলা

পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনে বডি বিল্ডার ফারুক হোসেনের মৃত্যুর অভিযোগ এনে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলামসহ ওই থানার ৫ কর্মকর্তার নামে মামলা হয়েছে। বুধবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) মামলার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।একই আদালতে মঙ্গলবার নির্যাতন ও ড়হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে মৃত ফারুকের স্ত্রী ইমা আক্তার হ্যাপী মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন। এরপর বুধবার অভিযোগের বিষয়ে ডিবিকে তদন্ত করে আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন আদালত। মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমদাদুল হক, আবু সালেহ, মাসুদ রানা ও বুলবুল আহমেদ।বাদীর অভিযোগে বলা হয়, গত ১২ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভিক্টিম ফারুক হোসেন লালবাগের খাজা দেওয়ান সিং লেন বাসা থেকে ব্যক্তিগত কাজে বের হন। এক ঘণ্টা পর স্ত্রী হ্যাপীকে ফোন দিয়ে জানান, তাকে সন্দেহজনকভাবে কায়েতটুলী ফাঁড়ির কতিপয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। তিনি গিয়ে দেখেন ফারুককে পুলিশ সদস্যরা মারধর করে আটকে রেখেছে। হ্যাপী সেখানে উপস্থিত এসআই ইমদাদুল হক, মাসুদ রানা, বুলবুল আহমেদসহ অন্যদের পা ধরে তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার আকুতি জানান। তখন ইমদাদুল হক তাকে বলেন, ফারুক অনেক বড় ক্রিমিনাল, তাদের গালিগালাজ করেছে। তাকে ছাড়তে হলে এক লাখ টাকা লাগবে। তখন হ্যাপী তাদের জানান, তিনটি ছোট সন্তান আছে তাদের। ফারুকের আয়েই সংসার চলে। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে এক লাখ থেকে কমিয়ে তারা ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাকে কুপ্রস্তাবও দেন। এসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আসামিরা ফারুককে ব্যাপক মারধর করে। পরে তাকে মাদক ব্যবসায়ী দাবি করে মোটরসাইকেলে করে বংশাল থানার দিকে নিয়ে যায়।

এরপর বংশাল থানার ওসি মইনুল ইসলামের হাত-পা ধরে আকুতি মিনতি করেও স্বামীকে ছাড়াতে পারেননি বলে জানান হ্যাপি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তিনি আদালতে অনেক কষ্টে স্বামীর সাক্ষাৎ পান। এ সময় স্ত্রীকে মারধরের কথা জানান ফারুক। তার কিছু হলে আদালতে বিচার চাইতে বলেন। তার বিরুদ্ধে ১৫০ গ্রাম গাজার মামলা দেওয়া হয় জেনে বাসায় ফিরে যান। এ অবস্থায় ১৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এক ব্যক্তি হ্যাপীকে জানান, ফারুক মারা গেছেন। হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তিনি স্বামীর মরদেহ দেখতে পান। ফারুকের গলায়, বুকে, পিঠে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। ফারুক সিটি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শোয়েবের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী। আগে বডি বিল্ডার ছিলেন মিস্টার বাংলাদেশ হিসেবে।