বরিশালের বানারীপাড়ায় অস্ত্র ও মাদক দিয়ে শাকিল নামের এক যুবককে ফাঁসাতে গিয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ওরফে ল্যাংডা সোহেল ও তার সহযোগী শামিম ফেঁসে গেছেন। একটি বিদেশী রিভলবার ও ১৬ পিস ফেন্সিডিলসহ শীর্ষ ওই মাদক ব্যবসায়ীর সহযোগী শামিম হাওলাদারকে (২২) গ্রেফতার করেছে বরিশাল ডিবি পুলিশ। ৩০ জানুয়ারী মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বানারীপাড়া উপজেলার মহিষাপোতা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শামিম বানারীপাড়ার সীমান্তবর্তী ঝালকাঠি সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের সালেক হাওলাদারের ছেলে। ডিবি পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,শামিম হাওলাদার ফোন করে তাদেরকে জানায়,বানারীপাড়ার মহিষাপোতা গ্রামে আফসার হাওলাদারের ছেলে বালু শ্রমিক শাকিলের বাড়ির রান্না ঘরের চালার মধ্যে অস্ত্র ও ফেন্সিডিল রয়েছে। এ খবর পেয়ে বরিশাল ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) মো. মাহমুদুল,উপ-পরিদর্শক কাজী ওবায়দুল কবির ও সহকারি উপ-পরিদর্শক রাজিব পালের নেতৃত্বে একটি টিম মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে বানারীপাড়ার মহিষাপোতা গ্রামে শাকিলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় শাকিলদের রান্না ঘরের চালার মধ্যে একটি রিভলবার ও ১৬ পিস ফেন্সিডিল তাদের দেখিয়ে দেয় শামিম। এতে তাদের সন্দেহ হলে তারা ইনফরমার শামিমকে আটক করেন । জিঙ্গাসাবাদের এক পর্যায়ে শামিম অকপটে স্বীকার করে, মহিষাপোতা গ্রামের কাসেম মোল্লার ছেলে বানারীপাড়ার শীর্ষ মাদক কারবারি সোহেল মোল্লা ওরফে ল্যাংডা সোহেল একই গ্রামের শাকিলকে ফাঁসাতে তাকে দিয়ে ওই রিভলবার ও ফেন্সিডিল রাখিয়েছে। এর বিনিময়ে তাকে ৫শত টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যপারে ডিবি পুলিশের উপ-পরির্দশক কাজী ওবায়দুল কবির বাদী হয়ে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মোল্লা ওরফে ল্যাংডা সোহেল ও তার সহযোগী শামিম হাওলাদারকে আসামী করে বানারীপাড়া থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। বরিশাল ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর (পরিদর্শক) মো. মাহমুদুল জানান,শামিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাৎক্ষণিক ল্যাংডা সোহেলের বাাড়িতে অভিযান চালানো হলেও তাকে পাওয়া যায়নি তবে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।