ছয়দিন হলো শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৮তম আসর। তারপরও মেলার কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়ন এখনো প্রস্তুত হয়নি। এগুলোর প্রস্তুতি শেষ হতে আরও দু-একদিন সময় লাগবে। এতে করে নির্মাণকাজের শব্দে বিরক্ত দর্শনার্থীরা। ছুটির দিন শুক্রবার মেলা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। ২১ জানুয়ারি রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্রে মেলা শুরু হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যৌথভাবে আয়োজন করে মেলার। অন্যান্য বছর ১ জানুয়ারি থেকে মেলা শুরু হলেও এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে মেলা দেরিতে শুরু হয়।মেলা ঘুরে দেখা যায়, ভেতর ও বাইরে বেশকিছু স্টলে এখনো চলছে প্রস্তুতির কাজ। ফলে এসব স্টলে কেনাবেচা শুরু হয়নি।একটি আবাসন কোম্পানির প্যাভিলিয়নে কাজ চলতে দেখা যা। সেখানে স্টল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, স্টল বুকিং পেতে দেরি হওয়ায় মেলা শুরুর আগে কাজ করা যায়নি।
‘টেডি বেয়ার শপ’ নামের এক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার জাবেদ আলম বলেন, এতদিন অন্যদের কাজের চাপে মিস্ত্রি পাইনি। ঠিক সময় বরাদ্দ পেলেও কাজ করতে পারিনি।
প্রস্তুতির কাজ করছেন এমন আরও কয়েকজন স্টল মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যারা এখনো কাজ শেষ করতে পারেননি তারা বুকিং পেয়েছেন দেরিতে। আবার কেউ তৃতীয় পক্ষ থেকে হস্তান্তর পেয়েছেন দেরিতে।এদিকে মেলার মধ্যে এমন নির্মাণকাজ চলায় বিরক্ত ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। মেলার পূর্বদিকের অংশে বেশিরভাগ কাপড় ও কসমেটিকসের দোকানের কাজ শেষ হয়নি। দক্ষিণ পাশেও একই অবস্থা। সেখানেও নির্মাণসামগ্রী আনা-নেওয়া চলছে। কিছু স্টলের ভেতরে চলছে রং ও সাজসজ্জার কাজ। কিছু স্টলে হাতুড়ি পেটানোর শব্দ।
এদিকে মেলার শুরুর এত পরও প্রস্তুতি সম্পূর্ণ না হওয়ায় হতাশ দর্শনার্থীরা। মেলায় আসা একজন ক্রেতা ফরিদ হোসেন বলেন, প্রতি বছর মেলা শুরুর পরও কেন কাজ চলে বুঝি না। অনেক স্টলে পণ্য নেই। এখনো কাজের শব্দে বিরক্ত লাগছে। এগুলো আগেই হওয়া উচিত ছিল।তবে বাইরের থেকে বিবিসিএফইসির ভেতরের স্টল-প্যাভিলিয়নগুলোর অবস্থা ভালো। সেখানে বেশিরভাগ স্টলের কাজ শেষ। মূল এ প্রাঙ্গণে ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হল ছাড়াও এর সামনে পেছনে বসানো হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল।আয়োজক–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছর দেশি–বিদেশি মিলিয়ে ৩৩১টি স্টল মেলায় অংশ নেয়। এ বছর সব মিলিয়ে ৩৫০টি স্টল অংশ নেবে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি সিঙ্গাপুর, তুরস্ক, হংকং, ইরান, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা মেলায় নিজেদের পণ্য বিক্রি করবেন।