সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের চুনারচর এলাকায় জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই জমিতে রোপন করা গাছ কেটে ফেলার ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি এ ঘটনার মূলহোতা হিসেবে ইউপি সদস্য হাসান আলীকে দায়ী করছেন। হাসান আলী ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য।যাদের নামে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে তারা হলেন কেশব লাল নন্দী, আলমগীর, দেলোয়ার হোসেন, নিজাম উদ্দিন, আবুল খায়ের, মাজহারুল ইসলাম, মাসুদ, কামাল হোসেন, ছাদেক, খালেকুল ও গিয়াসউদ্দিন।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়নের চুনারচর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে বিল্লাল হোসেন ওয়ারিশ এবং ক্রয় সূত্রে এলাকার ১৪ শতাংশ জমিটির মালিক হন। এরপর জমিতে দেয়াল নির্মাণ করে বিভিন্ন ফলের গাছ রোপণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন। কিন্তু বিবাদীরা নানাভাবে বাদীর মালিকানাধীন জমিটি দখলের চেষ্টা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ভুক্তভোগী বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে আদালতে পিটিশন দায়ের করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা জমির গাছ কেটে ফেলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এ সময় তাদের বাঁধা দিতে বাদী বিল্লাল হোসেনকে তারা মারধর করেন এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন। পরে আবার এসে অভিযুক্তরা সেই জমিতে দেয়াল ভেঙে নিজেদের সাইনবোর্ড স্থাপন করে সেখানে বালু ফেলে ভরাট করে জমিটি দখলের চেষ্টা করেন।
এদিকে আদালতে দায়ের করা পিটিশন মামলার রায়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকা এ.কে.এম হেদায়েতুল ইসলাম ১৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এক আদেশ দেন। তিনি নালিশি সম্পত্তিতে উভয়পক্ষের মধ্যে স্থিতাবস্থা এবং উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সদস্য হাসান আলী। তিনি বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি সম্পৃক্ত নই।ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক আসওয়াদুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত চলমান আছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।