৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবার অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় উপলক্ষে বুধবার (জানুয়ারি ১০) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।শেখ হাসিনা বলেন, এবারের নির্বাচন নিয়ে কেউ বলতে পারবে না যে, রাতে ভোট দিয়েছে, দিনের ভোট রাতে দিয়েছে, ভোট কারচুপি হয়েছে, তা কিন্তু বলার কোনো ক্ষমতা নেই। অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেটা আপনারা দেখেছেন।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, অনেকেরই অনেক রকম স্বপ্ন আছে, অনেকেই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল, ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনে মানুষ যাতে ভোট দিতে না আসে, তা ঠেকাতে চেয়েছিল। তারপরও ৪১ দশমিক ৮ ভাগ ভোট পড়েছে। এটাও কম কথা নয়। এককভাবে আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সমমনা দল নির্বাচন করেছে। আর একটি দল নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো হস্তক্ষেপ করেনি জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আইন করে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন পরিচালনা করতে দিয়েছি। কোন রকম হস্তক্ষেপ আমরা করিনি, সহযোগিতা করেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে সবই ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত, যাতে নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ হয়। সেখানে আমরা কখনো কোনো হস্তক্ষেপ করিনি।
জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিয়েছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, শত বাধা, ভয়-ভীতি, অগ্নিসন্ত্রাস সব কিছু উপেক্ষা করে আজ তারা নির্বাচন করেছে এবং নিজের ভোট নিজে দিয়েছে। স্বতঃস্ফুর্তভাবে মানুষ ভোট দিয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, অবাক লাগে যখন মিলিটারি ডিক্টেটররা জনগণের ভোট কারচুপি করে ক্ষমতায় আসত, তখন সেই নির্বাচন নিয়ে যারা কথা বলত না, আর আজ যখন আমরা গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি, তখনই আমাদের গণতন্ত্র নিয়ে তাদের প্রশ্ন, নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন।
তিনি বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি। গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছি।
বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ আজ ক্ষমতায় ফিরে এসেছে বলেই বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, সেই অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। বাংলাদেশের মানুষের শক্তিটাই বড় শক্তি। আরেকবার তার প্রমাণ হয়েছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। ৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ।
জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, কামরুল ইসলাম, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহাবুব উল আলম হানিফ, দিপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।
সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ ও উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।