যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর পৃথক তিন থানার মামলায় এ রায় দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশাররফ হোসেন।১০ বছর আগে তেজগাঁও থানায় করা নাশকতার মামলায় যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবসহ ১৪ বিএনপি নেতাকর্মীকে আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন- ঢাকা সিটির সাবেক কাউন্সিলর মো. আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলাশ, তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, রাজ, সেলিম, কবির, শফিজুর রহমান শাফিজ যুবদল নেতা জালাল, শ্রমিক দল নেতা, শাহ আলম, আব্দুল জলিল, ইউসুফ হোসেন মিন্টু, তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু ও ছাত্রদল নেতা ঝন্টু।আদালত তাদের প্রত্যেককে পেনাল কোডের ৪৩৫ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর ছয়মাসের সশ্রম করা দণ্ড প্রদান করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নাশকতার অভিযোগে ২০১৩ সালের নভেম্বরে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
বিএনপি নেতা মজনুসহ ১৩ নেতাকর্মীকে কারাদণ্ড
২০১৮ সালের রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় নাশকতার অভিযোগে করা এক মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুসহ বিএনপির ১৩ নেতাকর্মীকে আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অন্য পাঁচ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।কারাদণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা আহসান হাবিব হীরা, আবদুল্লাহ জামান আদিত্য চৌধুরী, আলমগীর হোসেন আজাদ, গিয়াস উদ্দিন মানিক, বদরুল আলম সবুজ, সোহাগ ভূঁইয়া, মোহাম্মদ ভাসানী চাকলাদার, মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।
আসামিদের ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনের ৩৫৩ ধারায় দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নাশকতার অভিযোগে আসামিদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহজানপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
বনানী থানার মামলায় বিএনপির ২০ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
২০১৮ সালে রাজধানীর বনানী থানায় করা নাশকতার মামলায় বিএনপির ২০ নেতাকর্মীকে দুই ধারায় একবছর নয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চার্জশিটভুক্ত অপর এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. মিজানুর রহমান, শাহজাহান সরকার, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান আল মামুন, হাজী সৈয়দ আহমেদ মনজুর হোসেন, মো. ইমাম হোসেন, মো. সেলিম আহমেদ রাজু, শাহজাহান বাবুর্চি, মিজানুর রহমান আক্তার, মোহাম্মদ রেজাউর রহমান ফাহিম।আসামিদের প্রত্যেককে দণ্ডবিধির ১৪৩ ধারায় তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৪২৭ ধারায় দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। মামলার সূত্রে জানা যায়, নাশকতার অভিযোগে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।