গাজীপুরে ইঞ্জিন ও ৭ বগিসহ লাইনচ্যুত হওয়া ট্রেন উদ্ধার করে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেললাইন সংস্কার ও উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী এ তথ্য দিয়েছেন।ভোরে দুর্ঘটনার পর সকালে উদ্ধারকারী ট্রেনটি রওনা হয় বলে জানান কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন।এর আগে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ভোর সোয়া ৪টার দিকে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল লাইনে বনখড়িয়া ভাওয়াল রেল স্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসটি লাইনচ্যুত হয়।গ্যাসকাটার দিয়ে রেললাইন কেটে ফেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আসলাম হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত এবং কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের আশপাশের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা।নিহত আসলাম ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার রওহা গ্রামের বাসিন্দা।ঘটনার পর গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম, কালিয়াকৈর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আজমীর হোসেন, র্যাব-১ এর পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর ইয়াসির আরাফাত হোসেন, গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হানিফ আলী জানান, ভোরে রাজেন্দ্রপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেক্স ট্রেন কিছুদূর যাওয়ার পর ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। দুর্বৃত্তরা রেল লাইন কেটে ফেলায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল সড়কে রেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। উদ্ধারকারী রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে রেললাইন সংস্কার ও উদ্ধার কাজ শুরু করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, রাতের যে কোন সময় বনখড়িয়া এলাকায় গ্যাসকাটার দিয়ে রেললাইন কেটে ফেলে দুর্বৃত্তরা। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। একপর্যায়ে ট্রেনটি বনখড়িয়া এলাকায় পৌঁছালে ওই কাটাস্থানে ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৭টি বগি লাইনচ্যুত হয়। এ সময় ট্রেনের এক যাত্রী মারা যায়। এ ঘটনার পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশন পুলিশ ফাঁড়ির উপ- পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল্লাহ হিরো বলেন, কে বা কারা রাতের অন্ধকারে রেল লাইন কেটে ফেলে। ফলে ট্রেনটি এ দুর্ঘটনার শিকার হয়। এ ঘটনার পর ওই রেল লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।