করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব— প্রতিপাদ্যে এবার বিশ্ব নারী দিবস পালিত হচ্ছে। নারী দিবসে এ প্রশ্ন প্রাসঙ্গিক, সমতার বিশ্ব গড়ার সোপানে বাংলাদেশের অগ্রগতি কতদূর? নারীর ক্ষমতায়ন বা বাংলাদেশে নারীদের নেতৃত্বে আনার বিষয়টি কতটুকু নিশ্চিত করা গেছে? বিশ্লেষকরা বলছেন, সেটি আশানুরূপ নয়। তবে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল বলছে, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের প্রতি মনোভাব বেশ পরিবর্তন হয়েছে। কর্মক্ষেত্রসহ সব জায়গায় নারীর মর্যাদা ও অবদানের স্বীকৃতি বেড়েছে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজনীতিতেও বেড়েছে নারীর আগ্রহ ও অংশগ্রহণ।
রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। আওয়ামী লীগ আসার পর থেকে যা আশা করেছিলাম হয়নি। নিচের লেবেল থেকে ওপর পর্যন্ত যা প্রতিশ্রুতি ছিল, তা পূরণ হয়নি। যেমন স্থানীয় সরকারে, সংসদে ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) অনুযায়ী দলে নারীর অংশগ্রহণ আশানুরূপ ও ফলপ্রসূ নয়।নারী নেত্রীদের দাবি, নারীর ক্ষমতায়ন কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে যায়নি। রয়ে গেছে বেশকিছু সীমাবদ্ধতা। যে কারণে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আশানুরূপ ও ফলপ্রসূ হচ্ছে না।
জানা গেছে, মন্ত্রিপরিষদে ৪৮ সদস্যের মধ্যে ৫ জন নারী। জাতীয় সংসদে সরাসরি নির্বাচিত সদস্য ২১ জন ও সংরক্ষিত ৫০ জন নারী। এর বাইরে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কমিটিতে সভাপতিসহ ১৯ জন নারী সদস্য রয়েছেন। এটার শতকরা হিসাব ১৫.৩৯ শতাংশ। তবে দলটির সহযোগী সংগঠন মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগসহ হিসাব কষলে সেটি বাড়বে। এছাড়াও দলটির ৪৮ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদে একজন নারী সদস্য আছেন। সহযোগী সংগঠন যুবলীগের ১৮৩ সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটির ৩ জন নারী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৫১ সদস্যের কমিটির ৮ জন নারী এবং ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির ১৮ জন নারী। তবে এটি ৫০ শতাংশে উন্নীত করার টার্গেট আছে দলটির।
নারী আন্দোলনের কর্মীরা বলছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগেই নারীর অংশগ্রহণ সর্বোচ্চ। তাদেরই যখন আশানুরূপ নারী নেতৃত্ব নেই, বাকি দলগুলোর অবস্থাতো বেশ নাজুক। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ আশানুরূপ নয়। আওয়ামী লীগ আসার পর থেকে যা আশা করেছিলাম হয়নি। নিচের লেবেল থেকে ওপর পর্যন্ত যা প্রতিশ্রুতি ছিল, তা পূরণ হয়নি। যেমন স্থানীয় সরকারে, সংসদে ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) অনুযায়ী দলে নারীর অংশগ্রহণ আশানুরূপ ও ফলপ্রসূ নয়।
সংসদ নির্বাচনে নারীদের সেভাবে মনোনয়ন দেয়া হয় না। এই নির্বাচনগুলোতে পেশিশক্তি ও ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন হয়। সেটা নারীর সেভাবে নেই। সেখানে দলগুলো চিন্তা করে, তার আসন তো জিতিয়ে আনতে হবে। তখন মনোনয়নের ক্ষেত্রে নারীর চেয়ে পুরুষরাই অগ্রাধিকার পায়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকারে নারীরা খুব উৎসাহ নিয়ে অংশ নেয়। কিন্তু কাজের পরিবেশ পায় না। তাদের নির্বাচনী এলাকা পুরুষ কাউন্সিলরের চেয়ে বেশি। কিন্তু কাজের সুযোগ একবারেই কম। এর মধ্যেও স্থানীয় সরকারের নারী প্রতিনিধিদের কীভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে, এগুলো নিউজে আসে। সেখানেও নারী জীবনের সহিংসতা ও অসম্মানের বিষয় থাকছে। নির্বাচিত সদস্য বলে তাকে দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে না।
ডা. ফওজিয়া আরও বলেন, জাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে আমরা বহুদিন দাবি করে আসছি, ৩৩ শতাংশ সিট সংসদে নিশ্চিত করা। সিট বাড়িয়ে ১০০টা আসন করে সরাসরি নারীদের নির্বাচিত করে নিয়ে আসা। কিন্তু ৫০টা সিটেই মনোনীত করে রাখার বিধান আছে। যার ফলে সংসদে কোনো রকম নারী সমস্যার বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে না। রাজনীতিতে থাকার পরও যদি নারীদের সমস্যা সংসদে না আসে, তাহলে লাভ কী? ধরে নিচ্ছি তারা সুযোগ পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ (আরপিও) অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সব ক্ষেত্রে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। এটাও বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এটি বাস্তবায়নে তাগিদ না দিয়ে এই বিধান শিথিল করে দেয়ার প্রস্তাব করেছে নির্বাচন কমিশন।
ডা. ফওজিয়া বলেন, সব মিলিয়ে নারীদের রাজনৈতিক অঙ্গণে সুযোগ বাড়ানোর বিষয়টি আশানুরূপ নয়। তবে নারীরা নিজেরা রাজনীতিতে আগ্রহী আছে এখনো। তারা এখনো স্থানীয় সরকার ও সংসদ নির্বাচনে অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গেই অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। নারীর প্রতি সামগ্রিক অমর্যাদার জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আশানুরূপভাবে বাড়েনি। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) বলা হয়েছিল, ২০২০ সালের মধ্যে প্রত্যেক দল তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে ৩৩ শতাংশ নারীকে রাখতে হবে। তবে এর ধারে-কাছেও হয়নি। কোনো দলই এটা বাস্তবায়ন করেনি।
তিনি বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে নারীরা কাজ করছে। কিন্তু সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ে আশানুরূপ নেই। তবে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নারীরা হচ্ছেন, ইউনিয়নে নারীরা নির্বাচিত হয়ে আসছেন। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ব্যক্তিগত উদ্যোগে রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে নারীদের আসন সংরক্ষিত রেখেছেন। তখন থেকে দেখা গেল, তৃণমূল পর্যায়ে বেশকিছু নারী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। কিন্তু ব্যাপকভাবে বলতে গেলে, যতটা হওয়ার কথা ছিল ততটা হয়নি।
ফরিদা ইয়াসমিন আরও বলেন, সংসদ নির্বাচনে নারীদের সেভাবে মনোনয়ন দেয়া হয় না। এই নির্বাচনগুলোতে পেশিশক্তি ও ব্যাপক অর্থের প্রয়োজন হয়। সেটা নারীর সেভাবে নেই। সেখানে দলগুলো চিন্তা করে, তার আসন তো জিতিয়ে আনতে হবে। তখন মনোনয়নের ক্ষেত্রে নারীর চেয়ে পুরুষরাই অগ্রাধিকার পায়।
এ ব্যাপারে জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতির পরামর্শ, রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়াতে হলে সরকার ও দলের সিদ্ধান্তে নারীদের নিয়ে আসতে হবে। আরপিওতে রাজনৈতিক দলগুলোকে এটির বাধ্যবাধকতা দেয়া থাকলেও করছে না। নির্বাচন কমিশনও রাজনৈতিক দলগুলোকে তাগাদা দিচ্ছে না। উপরন্তু বিষয়টি এড়িয়ে চলার একটা পক্রিয়া গ্রহণ করছে কমিশন।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও ক্ষমতায়ন নিয়ে বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ধীরে এগুচ্ছে। যে রাষ্ট্র, সমাজ ও পরিবারের মন-মানসিকতা এত নারী বিদ্বেষী, সেখানে একজন নারীর যেকোনো পেশাতে এগিয়ে আসা ও উন্নতি করা খুব চ্যালেঞ্জিং। পুরুষের দ্বিগুণ-তিনগুণ শ্রম দিয়ে আসতে হয়। রাজনীতিতে এটা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। সুতরাং আমরা চাইলেই বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারি না।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, রাজনীতিতে নারীর সংখ্যা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আমরা যেন মানের দিকও ঠিক রাখতে পারি। অমুকের মা, বোন, স্ত্রী দিয়ে কমিটি করে লাভ নেই। যোগ্যতা সম্পন্ন নারী আসলে সেটা ফলপ্রসূ হবে। গুণগত পরিবর্তন হবে।
রুমিন ফারহানা বলেন, কীসের নারী দিবস? বাংলাদেশে কোন নারী দিবসের কথা বলেন? সাধারণ একটা মেয়ের কাহিনী কোথাও আসলে তাকে নিয়ে যে ধরনের কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়, যে ধরনের স্ল্যাং (গালি) ব্যবহার হয়, নোংরা কাটাছেঁড়া হয়। এই যে, নাসির ও তার স্ত্রীকে নিয়ে যা ইচ্ছে তাই লেখা হয়েছে। মিথিলাকে নিয়ে তার জন্ম থেকে সবকিছু কাটাছেড়া করা হয়েছে। তার আগে শমী কায়সারকে নিয়ে কী হয়েছে? আমি অবাক হয়ে যাই, আমাদের দেশের মানুষ যে মানসিকতা ধারণ করে সে অবস্থা আপনারা কীসের নারী দিবস আর অধিকারের কথা বলছেন? ন্যূনতম সম্মান দেখান না। ফটোশপিংয়ের সবচে বড় শিকার নারীরা। তা সত্ত্বেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আিইন লেখক-সাংবাদিক ও বিরোধী মত দমনে ব্যবহার হয়, এই নারীদের সুরক্ষায় ব্যবহার হয়েছে দেখছি না। ক্ষমতায়নের আগে নারীদের শ্রদ্ধা করেন। অন্তত শ্রদ্ধা না করলেও মানুষ হিসেবে তাকে বাঁচতে সুযোগ দেন।
রাজনীতিতে নারী অংশগ্রহণের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নারী নেত্রী। তাদের দাবি, আওয়ামী লীগে ৩০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ হয়েছে। তারা দলের নেতাকর্মী ও সহকর্মীদের কাছে বেশ মর্যাদা পান। কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয় না।
আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা বলেন, দেশে নারীরা তাদের যোগ্যতায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দলেরও সর্বস্তরেই নারীদের অংশগ্রহণ আছে। ৩০ শতাংশ নারী নেতৃত্ব আছে। তারা তাদের যোগ্যতায় কাজ করছে, এটি সন্তোষজনক। অন্তত নারীর নেতৃত্ব ও ক্ষমতায়নে পাকিস্তান, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, নারী হিসেবে দলের নেতাকর্মীদের আচরণে আমি সন্তুষ্ট। আমি আমার দলে শতভাগ মর্যাদা পাই। সহযোগিতা পাই।
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা বলেন, আমাদের দলে নারীর অবস্থান অনেক ভালো। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৩ শতাংশ নারীকে নেতৃত্বে জায়গা দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে খেয়াল করবেন, অনেক সম্পাদকীয় পদে এখন নারী। উনি (প্রধানমন্ত্রী) চাইছেন নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগ করতে। আমি মনে করি, উনার চেষ্টার পাশাপাশি আমরা (নারীরা) যদি এগিয়ে আসি, তাহলে ৫০ ভাগ পেয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, নারী হিসেবে আমি যথেষ্ট মর্যাদা পাই। একজন চিকিৎসক হিসেবেও মর্যাদা পাই। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী যেকোনো সমস্যায় কথা বলেন, সাজেশন নেন। সহকর্মীরা সবাই সহযোগিতা নেন বা সহযোগিতা করেন। কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই।’
লধমড়হবংি২৪
আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা
আরপিও অনুযায়ী রাজনৈতিক দলগুলোতে নারী নেতৃত্ব নিশ্চিতের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আরপিও অনুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করার কথা; কিন্তু পূরণ করতে পারেনি। অবশ্য, এটা তো শুধু চাইলেও হবে না। আমাদের বাংলাদেশের তো একটা প্রেক্ষাপট আছে। নারীদেরও এগিয়ে আসতে হবে। প্রেক্ষাপট পরিবর্তন করতে হবে। সামাজিক ও পারিবারিক বাধা আছে, সেগুলো অতিক্রম করে মেয়েদের এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, দলগুলোতে ৩৩ শতাংশ নারী নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে ২০২০ সাল আমাদের একটা টার্গেট ছিল। ২০২১ এ আমরা চাইবো কতটুকু করছে, তাদের সময় দেবো। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর আবেদনের প্রেক্ষিতে আইন সংশোধনে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময় দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এদিকে সোমবার (৮ মার্চ) ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নারী অধিকার দাও, নারীর অধিকার দাও- বলে চিৎকার করে ও বক্তব্য দিলেই হবে না। খালি আন্দোলন করলেই অধিকার আদায় হয় না। অধিকার আদায় করে নিতে হবে। সেটা আদায় করতে যোগ্যতা লাগবে। সে যোগ্যতা শিক্ষা-দীক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘মেয়েদের এমন শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। যাতে তারা ভবিষ্যৎ জীবনে আদর্শ গৃহিণী, জননী ও নারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। জাতীয় সংসদে স্পিকার, সংসদ নেতা, উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেতা সব নারী। এভাবে রাজনীতিসহ বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আসছে। অচলায়তন ভেদ করে মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। এটি সবচেয়ে বড় সফলতা।’
আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধী দলের নেতা নারী। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সচিবসহ প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের বিভিন্ন পদে নারীর পদায়ন নারী ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল স্বাক্ষর।