জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল পূর্ব পরিকল্পিত, তাৎক্ষণিক কোনো বিষয় নয়। পাকিস্তানি সেনাদের গণহত্যা এবং আগ্রাসী যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে, পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র সংগ্রামের নির্দেশনা কোনো গঠনমূলক পরিকল্পনা ছাড়া হঠাৎ করে দেওয়া যায় না।
এটা আন্দোলন-সংগ্রামের এক দীর্ঘ প্রক্রিয়ার অনিবার্য ফসল। সত্যকে অস্বীকার করে সরকারি বয়ানে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিত্ব এবং উচ্চ মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। সত্যকে স্বীকার করাই হচ্ছে মহৎ কাজ। মনে রাখা প্রয়োজন, সরকারি নির্দেশে বই হয়, ইতিহাস হয় না।
রোববার (৭ মার্চ) বিকেলে জেএসডির কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি কর্তৃক আয়োজিত ৩ মার্চ ও ৭ মার্চ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আ স ম রব বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীনতা সংগ্রামের ‘বীজ মন্ত্র’, সশস্ত্র যুদ্ধের অনুপ্রেরণা এবং হাজার বছরের দৈন্য গ্লানি মুছে সব বিরোধ ছাপিয়ে বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ করার এক সার্থক অস্ত্র। এ ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা উন্মুখ জাতির সামগ্রিক আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
তিনি বলেন, ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন এবং ৩ মার্চ ইশতেহার পাঠের পর স্বাধীনতার প্রশ্নে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বা নির্দেশনা ছিল ঐতিহাসিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ৩ মার্চ রাত থেকে ৬ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড এবং বিএলএফ হাইকমান্ডের বৈঠক হয়। এসব বৈঠকে অসহযোগ আন্দোলনসহ ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ এ নির্দেশনা প্রশ্নে আলোচনা হয়। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক নির্দেশিত হয়ে আমাকে মঞ্চে অবস্থান করতে হয়েছিল।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মো. সিরাজ মিয়া, তানিয়া রব, এস এম আনছার উদ্দিন, সৈয়দ বেলায়েত হেসেন বেলাল, মোসাররফ হোসেন (শ্রমিক জোট), হাজী আক্তার হোসেন ভুইয়া, মোসাররফ হোসেন (মহানগর), তানভীর হোসেন, মোসাররফ হোসেন মন্টু, তৌফিকুজ্জামান পীরাচা প্রমুখ।