বিএনপি-জামায়াতের ডাকা ফের দুদিনের সর্বাত্মক অবরোধের প্রথম দিন সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দু-একটি দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে। তবে দূরপাল্লার বাস ছাড়ার সংখ্যা অন্যান্য অবরোধের দিনের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তারা দূরপাল্লার বাস চালানোর জন্য রেডি থাকলেও যাত্রীর অভাবে চালাতে পারছেন না।রোববার (১২ নভেম্বর) সকাল থেকে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রী খুবই কম। কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা, মাদারীপুর রুটে চলাচলকারী বাসগুলোকে যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে।টার্মিনালের ভেতরে সার্বিক পরিবহনের কাউন্টারে দায়িত্ব পালনকারী ইয়াসিন হোসেন বলেন, আমাদের গাড়িগুলো মোটামুটি চলাচল করছে। যাত্রী কম, বাস অর্ধেকও ভরে না তারপরও আমরা চালাচ্ছি মানুষের উপকারের জন্য। অবরোধের মধ্যে প্রতিদিন আমাদের ১৫ থেকে ২০টি গাড়ি মাদারীপুর যায়। স্বাভাবিক সময় যায় ৩০ থেকে ৩৫টি গাড়ি। আগে যেখানে একটা গাড়ি আধাঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে যেত, এখন এক ঘণ্টাও ছাড়া যাচ্ছে না, কারণ যাত্রী নাই। চট্টগ্রাম রুটে সিডিএম ট্রাভেলসের লোকাল গাড়িগুলো বেশি চলাচল করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।কুমিল্লা রুটে চলাচল করা তিশা পরিবহনের কন্ডাক্টর সাইফুল ইসলাম যাত্রী ডাকছিলেন। তিনি বলেন, অনেকক্ষণ ধইরা ডাকাডাকি করতেছি, গাড়ি অর্ধেকও ভরে নাই।ঢাকা জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেলিম সারওয়ার বলেন, সকালে কিছু যাত্রী ছিল কিছু বাসও ছেড়ে গেছে। এখন যাত্রীর অভাবে বাস ছাড়ছে না বললেই চলে। তবে অন্যান্য অবরোধের দিনের চেয়ে আজকে দূরপাল্লার বাস বেশি চলছে। আজকে সকাল থেকে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সায়দাবাদ থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ১০০টির বেশি গাড়ি গেছে বলেও জানান তিনি।এখনো বিভিন্ন গন্তব্যে দূরপাল্লার বাস রেডি আছে যাত্রী হলেই ছেড়ে দেবে জানিয়ে এই পরিবহন শ্রমিক নেতা বলেন, মাদারীপুর, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার গাড়িগুলো বেশি চলাচল করছে বলেও জানান তিনি।