প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, আপনার উজবুক মন্ত্রীদের কথা না শুনে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিল করেন। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয়েছিল তখন চাটুকারেরা কোথায় ছিল? অজানা ঘটনা ঘটলে আপনার ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর আনিসুল হক বলেন—এদেরকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ।
তিনি বলেন, এই সত্যটা প্রকাশ করতে হবে যে, আপনি কেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছিলেন। আপনাকে প্রকাশ করতে হবে যে, এইচ টি ইমাম যখন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের পুরা ট্রেজারির থেকে ওনার কাছে ছিল, কত টাকা প্রবাসী সরকারের কাছে আমলারা জমা দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, একটা কার্টুনিস্ট কার্টুন এঁকে ব্যঙ্গ করে দেশের কী ক্ষতি করতে পারে? তাকে ১০ মাস জামিন দেননি। লেখক মুশতাক আহমেদের কথা আপনারা বলছেন—তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু কাউকে যদি আপনারা চিকিৎসা না দেন তাহলে সেটাকে কি স্বাভাবিক মৃত্যু বলা যাবে?
জাফরুল্লাহ চৌধুরী দাবি করেন, বর্তমানে এক লাখের বেশি ব্যক্তি কারাগারে আছে, ব্রিটিশ আমলেও এত মানুষ জেলে ছিল না, পাকিস্তান আমলেও না। ঢাকার কাশিমপুর বলেন আর কেরানীগঞ্জ বলেন সেখানকার হাসপাতালে একটা ইসিজি মেশিন নাই, ভেন্টিলেটর নাই। আপনার বাবা তার অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে ও কারাগারের এই হাসপাতালগুলোর দুরাবস্থার কথা বলে গেছেন। এইভাবে প্রতারণা করে আর কতদিন চলবেন?
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে চাই, শেষ মুহূর্তে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে, তার মদদে উনি সাহস করে টিকা গ্রহণ করেছেন। যে করোনা টিকা এতদিন নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছিলাম, সেটা তিনি এতদিন নেননি।
এনডিপির চেয়ারম্যান কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও সংগঠনের সভাপতি কে এম রাকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।