ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ নয়:কাদের

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-11-05, 12.00 AM
সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সংলাপ নয়:কাদের

বিএনপির সঙ্গে সংলাপের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না, সংলাপের পাঠ শেষ।  চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে দেশকে খারাপ পরিবেশ থেকে রক্ষার জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) নামানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।ওবায়দুল কাদের বলেন, পুলিশ হত্যা থেকে শুরু করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, হাসপাতালে হামলা, সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ, হরতাল-অবরোধের নামে বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনার দায় কোনোভাবেই বিএনপি এড়াতে পারে না। এসব ঘটনার জন্য বিএনপিই দায়ী। দেশকে খারাপ পরিবেশ থেকে রক্ষা করার জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং বিজিবি নামানো হয়েছে।এদিকে ১২টি রাষ্ট্র বাংলাদেশ থেকে পোশাক নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে বলে একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবরের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এসব গুজব। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো সংলাপ হয় না। তারা সন্ত্রাসী দল, বিএনপি আগুনসন্ত্রাসী দল, তার প্রমাণ তারা গত ২৮ অক্টোবর আবারও করেছে। এই সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ হতে পারে না, সংলাপের পাঠ শেষ। এক সময় বলেছিলাম বিএনপিকে চার দফা দাবি তুলে নিতে, তারপর আমরা বিবেচনা করব সংলাপের বিষয়ে। এখন বিএনপি যা করেছে, সেক্ষেত্রে সংলাপের আর কোনো পরিবেশ নেই।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতারা পাহাড়ের গুহায় বসে কথা বলছেন৷ তাদের দেখা যায় না। বিএনপির এক কোটি নেতাকে ঘরছাড়া করা হয়েছে, আর আট হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে— এসব মুখে না বলে তারা তালিকা দেক। আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাছে সেই তালিকা দেব। তাদের এক কোটি ঘরছাড়া, আট হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করার কথা মিথ্যা। এসব মিথ্যা কথা বলে বিদেশিদের কাছে নালিশ দিচ্ছে। বিএনপির নেতারা পালিয়েছে, তাহলে তাদের এক কোটি নেতাকর্মী কোথায় গেল? এই বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে কী অবস্থা করে রেখেছিল বিএনপি। তারা আমাদের নেতাকর্মীদের দাঁড়াতেই দেয়নি। বিএনপি-জামায়াত যা করছে তা আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।

 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক বলেন, তারা পুলিশ ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। বিচারপতির বাসায় হামলা করছে। একজন পুলিশকে তারা হত্যা করেছে। বাসে আগুন দিয়েছে। পুলিশের ওপর আক্রমণ, বাসের হেলপার পুড়িয়ে মারা, পুলিশ হসপিটালে হামলা; মির্জা ফখরুলসহ কেউ কি দায় এড়াতে পারবেন? একজনও এড়াতে পারবেন না। তাদের নির্দেশেই এই সন্ত্রাস হয়েছে। কানাডার আদালতও সঠিকভাবেই বলেছে, তারা সন্ত্রাসী সংগঠন।  

 

সারা দেশে বিজিবি মোতায়েন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্যই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির থাবা থেকে রক্ষার জন্য বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীরা এমনিই ভয়ে আছে‌।

 

ওবায়দুল কাদের বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির বড় বড় নেতাদের নির্দেশে সন্ত্রাস হয়েছে, তাদের বিচার হতেই হবে। এই অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়া হবে না? তাদের কি ছাড় দেওয়া উচিত?তিনি বলেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী থাকুক না বাইরে। দুই-একজন কথা বলার লোক থাকা দরকার। তবে ইচ্ছে থাকলেও অনেক সময় গ্ৰেপ্তার করা যায় না। তাদের তো বিভিন্ন সারির নেতারা রয়েছেন। তাদের আসল নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তো আছেই। সে স্কাইপিতে বিদেশ থেকে নির্দেশ দিচ্ছে।