নোয়াখালীর কবিরহাট ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৪ নভেম্বর) মাদরাসায় উপাধ্যক্ষ সহ ৩ পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় অভিযোগে জানা গেছে, মাদরাসার উপাধ্যক্ষ, অফিস সহকারী ও আয়া পদে নিয়োগের জন্য দরখাস্ত আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ।শনিবার সকাল ৯টায় পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য উপাধ্যক্ষ পদে ৯ জনকে প্রবেশ পত্র দেওয়া হয়। এরমধ্যে উপাধ্যক্ষ পদে ৩ জন, অফিস সহকারি পদে ৩ জন ও আয়া পদে ৫ জন পরীক্ষা দিতে আসেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদরাসার একটি সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে গোপন বৈঠক করে পছন্দের লোককে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন অধ্যক্ষ এ এইচ এম আনছার উল্যাহ । তিনি অবসরে যাবেন এবং নিয়োগ প্রাপ্ত উপাধ্যক্ষই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হবেন বলে এক প্রার্থীর থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। তার পরীক্ষার খাতা পাল্টে দিয়ে নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।এ বিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ এ এইচ এম আনছার উল্যাহ অভিযোগ অস্বীকার করে দুপুর পৌনে ১২টায় প্রতিবেদকে বলেন, উপাধ্যক্ষ পদে পরীক্ষার শীটে সময় মতো ৩ জনই সই করেছেন। মহাপরিচালকের প্রতিনিধি আসতে দেরি হওয়ায় পরীক্ষা নিতে দেরি হচ্ছে। এরমধ্যে গোলাম ফয়সাল নামে একজন পরীক্ষা না দিয়ে চলে গেছেন। তিনি না এলে এ পদে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।কিন্তু সন্ধ্যায় অধ্যক্ষ এ এইচ এম আনছার উল্যাহ জানান, গোলাম ফয়সাল চলে গেলেও অন্য একজন প্রতিযোগি সহ উপাধ্যক্ষ পদে ৩ জন, অফিস সহকারী ৩ জন ও আয়া পদে ৫ জন পরীক্ষা দিয়েছেন। এরমধ্যে কমিটির মূল্যায়নে যারা উত্তীর্ণ হবেন তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে।কবিরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র আলাবক্স তাহের টিটু বলেন, সকাল ৯টার পরীক্ষা বেলা ১১টায় শুরু না হওয়ায় গোলাম ফয়সাল নামে উপাধ্যক্ষ পদের একজন প্রার্থী পরীক্ষা না দিয়ে চলে যান। পরে কমিটির লোকজন তারস্থলে বাটইয়ার সামছুদ্দিন নামে একজনকে দিয়ে পরীক্ষা দেখিয়ে নিজেদের পছন্দের লোককে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিচ্ছেন। বিষয়টি তিনি ফেসবুকের মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরেছেন বলে জানান।এবিষয়ে উপাধ্যক্ষ পদের প্রার্থী গোলাম ফয়সাল বলেন, সকাল ৯টার পরীক্ষা বেলা ১১টায়ও অনুষ্ঠিত না হওয়ায় পরীক্ষা না দিয়েই আমি চলে আসি। পরে শুনলাম আমার স্থলে অন্যলোক দিয়ে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও কবিরহাট পৌরসভার মেয়র জহিরুল হক রায়হান বলেন, কিছু সমস্যা থাকায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে দেরি হয়েছে। তবে অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয়। মেধার মূল্যায়ন করে নিয়োগ চুড়ান্ত করা হবে।কবিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা বলেন, এ নিয়োগ পরীক্ষার বিষয়ে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। গভর্নিং বডি নিজেরাই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করেছেন।