সারা দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশি তল্লাশি ও ভয়ভীতি এবং সরকারি দলের ক্যাডারদের হামলার ঘটনাও ঘটছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জনসমাবেশকে ঘিরে এ পর্যন্ত বিএনপির তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিজভী। গতকাল নয়াপল্টন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। গ্রেপ্তারের তালিকা তুলে ধরে রিজভী বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আওতাধীন ৪১নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক নজিবুল হক, ৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক মো. লিটন, শ্যামপুর থানাধীন ৫৪নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা গোরফান মজুমদার, ধার্মিকপাড়া ইউনিট বিএনপির সহ-সভাপতি মো. সেলিম খান, যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া ইউনিট বিএনপির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নোমান, বংশাল থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান, শাহবাহ থানাধীন ২০নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. শাহ আলম, লালবাগ থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য সচিব মিজানুর রহমান পলাশ, ২৯ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিরব হোসেন সুমন, গেন্ডারিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আবুল হোসেন জনি, ৩৪ নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সমির হোসেন অপু, মোঃ রতন চৌধুরী, ওলি খান, মো. রিপন, মোঃ আরিছ, লালবাগ থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রতন চৌধুরী ও সূত্রাপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা অলি, ঢাকার তোপখানা রোডস্থ হোটেল কর্ণফুলি থেকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলাধীন আনোয়ারা উপজেলা যুবদল নেতা- রকিবুল হাসান, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, মোঃ সোহেল, মো. তাজ, নূর মোহাম্মদ, গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এছাড়াও কদমতলী থানা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ জহুরুল ইসলাম, সদস্য মোঃ হিরোন, ৩৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হক ডালিম, বিএনপি নেতা জাবেদ হোসেন বাবু, মো. রাজ্জাক আলী, মোঃ সালাউদ্দীন ও জামালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়াও গতকাল সমাবেশ শেষ করে যাওয়ার পথে কদমতলী থানাধীন ৬০নং ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, বিএনপি নেতা দিদার মহসিন, খোরশেদ আলম, যাত্রাবাড়ী থানাধীন ৬৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মোঃ লিয়ন, ওয়ারী থানাধীন ৪১নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা আলাল, মোসলেম উদ্দিন, কামরাঙ্গীচর থানা বিএনপি নেতা মোঃ হাসান, মোঃ জিয়া, মো. বাবলা, মো. মনির হোসেন, হাজারীবাগ থানার মোঃ ইকবাল, ওয়ারী থানা বিএনপি নেতা মো. মোসলেম উদ্দীন, আলাল, শাজাহান ও বংশাল থানাধীন ৩২ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়া টাঙ্গাইলে ৫১ জন, সাভারের আশুলিয়া থেকে ২৬ জন, যশোরে ২২ জন, ফরিদপুরে ১৭, নরসিংদীতে ১৫ জনসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ৩০০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রিজভী আহমেদ অভিযোগ করেন, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের গুলশানস্থ বাড়িতে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশি চালায়। তাকে না পেয়ে তার বাড়ির লোকজনদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এছাড়া ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ৬নং আটঘর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আবুল কাশেম আবুল, শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সতেজ, শরিফুল ফকির, লিয়াকত আলী শেখ, আকরাম খান, আকরাম ফকির, ছানোয়ার হোসেন চুন্নু মুক্তারমন্ডলসহ অনেক বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে মধ্যরাতে পুলিশ তল্লাশির নামে ভাঙচুর ও পরিবারের সদস্যদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কে এম আব্বাস এর সাতকানিয়াস্থ নিজ গ্রামের বাড়িতে তার উপর স্থানীয় আওয়ামী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তার দুই পা ও হাত ভেঙে দিয়েছে।