অপহৃত ইজ়রায়েলিদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার শুরু করেছে হামাস বাহিনী। আর তাদের এই মোক্ষম চালেই ইজ়রায়েলের হামলায় মৃত্যু হচ্ছে অপহৃত সেই ইজ়রায়েলিদেরই! শনিবারই ইজ়রায়েলের হামলায় গাজ়ায় বন্দি ন’জন ইজ়রায়েলির মৃত্যু হয়েছে। ফলে হামাসের এই কৌশল ভাবিয়ে তুলেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনাকে।গাজ়ায় হামাসের ডেরা লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। সে দেশের প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা এয়াল হুলাটার দাবি, হামাস ভাল ভাবেই জানে, তাদের ডেরায় হামলা হবে। আর সে কারণেই অপহৃত ইজ়রায়েলিদের মানব ঢাল বানিয়ে ওই ডেরাগুলিতে রাখা হচ্ছে। আর সেই সব ডেরায় ইজ়রায়েলের বিমানবাহিনী হামলা চালাতেই মৃত্যু হচ্ছে অপহৃতদের।
হুলাটা জানিয়েছেন, হামাসরা শতাধিক ইজ়রায়েলি নাগরিককে অপহৃত করেছে। অপহৃতদের মধ্যে মহিলা, বয়স্ক ব্যক্তি এমনকি শিশুও রয়েছে। তাঁর কথায়, “প্রথমে অপহৃতদের প্যালেস্তাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ইজ়রায়েলের বিমানবাহিনী তাদের ডেরায় পর পর হামলা চালাতেই অন্য কৌশল নেয় হামাসরা। গাজ়ায় নিয়ে এসে অপহৃতদের ওই ডেরাগুলিতে রাখা শুরু করেছে তারা।”হুলাটার দাবি, “আমার সাধারণ মানুষের উপর হামলা করিনি। গাজ়ায় হামলা চালানো আগে সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরে যাওয়ার সময় দিয়েছি। কিন্তু হামাস আমাদের লোকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে, এবং সেটা ইচ্ছাকৃত ভাবেই। যাতে ইজ়রায়েলের নাগরিকদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছয় যে, ইজ়রায়েলের হাতেই মৃত্যু হচ্ছে তাদের নাগরিকদের! এই কাজ করে আমাদের দেশের মানুষের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে হামাস।” তাই এ বার স্থলপথেই অভিযান শুরু হয়েছে। গাজ়ায় আরও জোরদার অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইজ়রায়েলি সেনা। গাজ়া সীমান্ত সংলগ্ন হামাসের বাঙ্কারগুলিতে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু ইজ়রায়েলিকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু গাজ়ার একেবারে ভিতরে ঢুকতে পারেনি সেনা। ফলে এটাও ইজ়রায়েলি সেনার কাছে বড় একটা চ্যালেঞ্জ।