দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম ও চিরিরবন্দর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলে এলাহীর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির শতাধিক অভিযোগ থাকলেও তারা বহাল তবিয়তে দিন গুজার করছে। তাদের একাধিকবার বদলি করা হলেও অদৃশ্য শক্তি বলে তা বাতিল হয়ে গেছে। দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তাদের অবিলম্বে প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।রোববার (১ অক্টোবর) সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগী শিক্ষক মো. মাজেদুর রহমান। এ সময় অন্যান্য ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত অভিযোগে মো. মাজেদুর রহমান জানান, তিনি চিরিরবন্দরের বিন্যাকুড়ি নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়োগ কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৮ জুন গণিতের শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ও শ্রেণী কক্ষে পাঠদান করছেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রত্যায়নপত্রও প্রদান করেন। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিসার তা উপেক্ষা করে অনিয়মের মাধ্যমে নিজের মনগড়া গণিতের শিক্ষকের বদলে ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে প্রত্যায়ন প্রদান করে। পরে তিনি প্রধান শিক্ষককে বলেন আপনার প্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষক-কর্মচারীর বিলের আবেদন পাঠানো হবে না।
তিনি আরও বলেন, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসাররা নিজেদের স্বেচ্ছাচারিতায় একই ফাইল ৩ বার আটকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেন। টাকা ছাড়া তাদের কাছে কারো কোন মূল্য নেই। তাদের যোগসাজসে নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ফাইল আটকে উৎকোচ গ্রহণ করেন। যদি টাকা না দেয়া হয় তাহলে তাদের দপ্তর থেকে শিক্ষকদের ফাইল নড়ে না। এছাড়াও শিক্ষকদের সাথে তারা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও মাদরাসা শিক্ষক সমিতির শতাধিক ভুক্তভোগী তাদের অনিয়মের বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহা-পরিচালকের কাছে অভিযোগ দেয়া হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।