ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে প্রস্তুতি

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-09-30, 12.00 AM
খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে প্রস্তুতি

উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তার পরিবার। লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকারও ইতিবাচক বলে জানিয়েছে দলের একটি সূত্র। এখন সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার।  আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনটি আমার দপ্তরে এসেছে। এটি যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই মতামত জানাবো।  বিএনপি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিতে পারে। সেজন্য পরিবার থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পরিবার থেকে জার্মানিতে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার শরীরে যে রোগগুলো রয়েছে সেগুলোর চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে ভালোমানের হাসপাতাল রয়েছে বলে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সেজন্য জার্মানিতে নিতেই পরিবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে গত মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাস্থ জার্মানির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জান রুল্ফ জানোস্কির সঙ্গে কথাও বলেছেন। সরকার যদি অনুমতি দেয় তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কে কে যাবেন সে ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান ও দুইজন গৃহকর্মী সঙ্গে যেতে পারেন। এ ছাড়া লন্ডন থেকে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও জার্মানিতে আসতে পারেন। গত ৯ই আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তার স্বাস্থ্যের তেমন কোনো উন্নতি নেই। বরং দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মাঝে-মধ্যেই তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। নিতে হচ্ছে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। গতকাল  বিকালেও তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে তিন দফা তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। এ ছাড়া লিভার সিরোসিসের কারণে তার পেটে পানি চলে আসছে। সেটা বের করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেকটা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। 

বিএনপি’র চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতি মাসেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে পরিবার। চলতি মাসের ৪ তারিখও একটি আবেদন করা হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে তিনদিনের ব্যবধানে দুবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়ায় কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিতে হয়। মূলত বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক জটিল অবস্থার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো নিয়ে সরকার নমনীয় হয়। তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য নতুন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী। এরপর গত ২৫শে সেপ্টেম্বর নতুন করে আবেদন করেন  খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। আবেদনটি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

 

এদিকে মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিলেও কিছু দেশের নাম উল্লেখ করে শর্ত দিতে চায়। সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড কিংবা এশিয়ার কোনো দেশে চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু বিএনপি চায় জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা অস্ট্রেলিয়া। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন আগে এসব দেশে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। তাছাড়া তার শরীরে যেসব রোগ রয়েছে এবং তার শরীরের বর্তমান যে কন্ডিশন সেটার উপযুক্ত চিকিৎসা উল্লিখিত দেশে সম্ভব। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর বিষয়ে সরকারের তরফে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু লিভার সিরোসিস নয়, বার্ধক্যজনিত অনেকগুলো রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। সেজন্য তার অ্যাডভান্স মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে চিকিৎসা প্রয়োজন। তাই শুরু থেকেই মেডিকেল বোর্ড কয়েকটি দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছেন। সেগুলো হলো জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্য। তবে সরকার অনুমতি দিলে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা যে দেশে পাঠানোর পরামর্শ দেবেন সে দেশে পাঠানো হবে। এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আশা করছি পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে তাতে সাড়া দিয়ে সরকার দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় কারাদ- দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। এরপর অসুস্থ হয়ে কয়েক দফা এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সর্বশেষ ৯ই আগস্ট অসুস্থ হয়ে এভারকেয়ারে ভর্তি হন। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তার পরিবার। লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকারও ইতিবাচক বলে জানিয়েছে দলের একটি সূত্র। এখন সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার।  আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনটি আমার দপ্তরে এসেছে। এটি যাচাই-বাছাই করে শিগগিরই মতামত জানাবো।  বিএনপি’র একটি সূত্র জানিয়েছে, সরকার যেকোনো সময় খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দিতে পারে। সেজন্য পরিবার থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পরিবার থেকে জার্মানিতে নেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে তার শরীরে যে রোগগুলো রয়েছে সেগুলোর চিকিৎসার জন্য জার্মানিতে ভালোমানের হাসপাতাল রয়েছে বলে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। সেজন্য জার্মানিতে নিতেই পরিবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে গত মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকাস্থ জার্মানির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত জান রুল্ফ জানোস্কির সঙ্গে কথাও বলেছেন। সরকার যদি অনুমতি দেয় তাহলে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কে কে যাবেন সে ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান ও দুইজন গৃহকর্মী সঙ্গে যেতে পারেন। এ ছাড়া লন্ডন থেকে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও জার্মানিতে আসতে পারেন। গত ৯ই আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তার স্বাস্থ্যের তেমন কোনো উন্নতি নেই। বরং দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মাঝে-মধ্যেই তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। নিতে হচ্ছে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। গতকাল  বিকালেও তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে তিন দফা তাকে সিসিইউতে নেয়া হয়। এ ছাড়া লিভার সিরোসিসের কারণে তার পেটে পানি চলে আসছে। সেটা বের করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অনেকটা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। 

বিএনপি’র চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতি মাসেই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানোর অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে পরিবার। চলতি মাসের ৪ তারিখও একটি আবেদন করা হয়। কিন্তু গত সপ্তাহে তিনদিনের ব্যবধানে দুবার খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়ায় কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নিতে হয়। মূলত বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক জটিল অবস্থার কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো নিয়ে সরকার নমনীয় হয়। তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য নতুন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করার আহ্বান জানান আইনমন্ত্রী। এরপর গত ২৫শে সেপ্টেম্বর নতুন করে আবেদন করেন  খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। আবেদনটি বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।

এদিকে মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, সরকার খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিলেও কিছু দেশের নাম উল্লেখ করে শর্ত দিতে চায়। সেক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড কিংবা এশিয়ার কোনো দেশে চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু বিএনপি চায় জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য কিংবা অস্ট্রেলিয়া। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন আগে এসব দেশে চিকিৎসা করিয়েছিলেন। তাছাড়া তার শরীরে যেসব রোগ রয়েছে এবং তার শরীরের বর্তমান যে কন্ডিশন সেটার উপযুক্ত চিকিৎসা উল্লিখিত দেশে সম্ভব। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর বিষয়ে সরকারের তরফে এখনো কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে বিএনপি’র স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, শুধু লিভার সিরোসিস নয়, বার্ধক্যজনিত অনেকগুলো রোগে ভুগছেন খালেদা জিয়া। সেজন্য তার অ্যাডভান্স মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে চিকিৎসা প্রয়োজন। তাই শুরু থেকেই মেডিকেল বোর্ড কয়েকটি দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছেন। সেগুলো হলো জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র কিংবা যুক্তরাজ্য। তবে সরকার অনুমতি দিলে মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা যে দেশে পাঠানোর পরামর্শ দেবেন সে দেশে পাঠানো হবে। এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আশা করছি পরিবারের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে তাতে সাড়া দিয়ে সরকার দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির মামলায় কারাদ- দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয় সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর ২০২০ সালের ২৫শে মার্চ তাকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাসভবনে অবস্থান করছেন। এরপর অসুস্থ হয়ে কয়েক দফা এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। সর্বশেষ ৯ই আগস্ট অসুস্থ হয়ে এভারকেয়ারে ভর্তি হন।