ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

‘সম্পর্ক টানাপোড়েন পোশাক শিল্প ধ্বংস হবে’

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-09-29, 12.00 AM
‘সম্পর্ক টানাপোড়েন পোশাক শিল্প ধ্বংস হবে’

‘আমি এখনো মনে করি না বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের স্বার্থের সম্পর্ক। তাদের চেয়ে আমাদের স্বার্থ বড়।’বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষক, কূটনীতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. এম শাহিদুজ্জামান। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের সম্পর্কের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি।অধ্যাপক এম শাহিদুজ্জামান মনে করেন ‘সরকার অনেকগুলো ফাঁদ তৈরি করে ফেলেছে। যে ফাঁদ থেকে সহসাই বের হওয়ার কোনো উপায় নেই। আমাদের মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এখানকার মানুষ ভাত না পেলেও ভোটের জন্য গুলি খায়। এটি ইরান বা উত্তর কোরিয়ার মতো কোনো দেশ নয়। আপনি গণতন্ত্রের কথাও বলবেন, আবার বছরের পর বছর ধরে মানুষের ভোটাধিকার হরণ করবেন। এই দ্বিচারিতা তো দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না।’যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞায় কী হতে পারে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার মতো করে চলে। ইরানের সামরিক কর্তা কাশেম সোলায়মানিকে হত্যা করে তো যুক্তরাষ্ট্র রীতিমতো উল্লাস করলো। তার মানে যুক্তরাষ্ট্রের নীতির বাইরে গেলে সর্বোচ্চ প্রতিশোধও নিতে পারে।’ ‘আসলে বাংলাদেশ সরকার যারা পরিচালনা করছে, তারা জানেও না, বোঝেও না যুক্তরাষ্ট্র কী করতে পারে। ইরানের মতো রাষ্ট্রের সামরিক কর্তাদের একের পর এক হত্যা করছে। বাংলাদেশ কী করতে পারবে?’ বলছিলেন, শাহিদুজ্জামান।যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক কি ওই পর্যায়ে কল্পনা করা যায়? এই বিশ্লেষক বলেন, ‘আমি এখনো মনে করি না বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের স্বার্থের সম্পর্ক। তাদের চেয়ে আমাদের স্বার্থ বড়। সম্পর্কের টানাপোড়েন হলে পোশাক শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। কিছুই আর করার থাকবে না।’

‘কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হচ্ছে, তা যুক্তরাষ্ট্র ভালোভাবে নেয়নি বলেই প্রমাণিত। সরকার সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছে না, তা নয়। না পেরে এখন যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান নিয়ে কথা বলছে।’‘বাংলাদেশ সরকারের যারা কথা বলছে, তাদের জ্ঞানের গভীরতা শূন্য। যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি প্রণয়ন করছে এমনিতেই নয়। একটি সুপার পাওয়ার রাষ্ট্রের সঙ্গে যারা চিৎকার করছে, তারা দেশের মধ্যেই পুলিশ ছাড়া বের হতে পারছে না। এই সরকারের বড় সমস্যা হচ্ছে জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।’