খালেদা জিয়ার জীবন রক্ষার্থে অবিলম্বে মুক্তি দিয়ে দ্রুত বিদেশে পাঠাতে আবারো সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।তিনি বলেন, ‘‘ডাক্তার সাহেবরা যারা উনাকে(খালেদা জিয়া) দেখছেন, যারা তার ২৪ ঘন্টা মনিটরিং করছেন, তার সাথে যারা আছেন তারা বার বার করে বলছেন, যে তাদের চিকিতসা এখন পর্যন্ত যতটুকু পেরেছেন, করেছেন। এরপরে যে এডভ্যান্স ট্রিটমেন্ট দরকার সেই এডভান্স ট্রিটমেন্টের জন্য বাংলাদেশে কোনো এডভান্স মেডিকেল সেন্টার নেই। এই কারণে তারা বার বার বলছেন যে, তাকে বাইরে বিদেশে এডভান্স ট্রিটমেন্টের জন্য পাঠানো অত্যন্ত জরুরী।”‘‘ আমি আজকে আপনাদের মাধ্যমে এককথাটা সমগ্র দেশবাসীকে এবং এই অমানবিক সরকারকে আহ্বান জানাতে চাই যে, সবকিছু ভুলে এই গণতন্ত্রের নেত্রীকে যিনি গণতন্ত্রের জন্য সারাজীবন সংগ্রাম করেছেন তার জীবন রক্ষার্ধে অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিতসার করানো ব্যবস্থা করা হোক।’’
‘অন্যথায় যেকোনো উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য সমস্ত দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।’-হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন বিএনপি মহাসচিব।
গত ৯ আগস্ট থেকে অসুস্থ অবস্থায় বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধায়নে একটি মেডিকেল বোর্ড তার চিকিতসায় নিয়োজিত আছেন।
গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দুপুরে চলমান আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণার আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা তুলে ধরেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘‘ আজকে আমাদের বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যে নেতার অবদান সবচেয়ে বেশি যাকে এদেশের মানুষ আপোষহীন নেত্রী বলেন এবং যাকে আমরা গণতন্ত্রের মাতা বলি, যিনি তার রাজনৈতিক কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় গণতান্ত্রিক সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন এবং এখনো গুরুতর অসুস্থ অবস্থায়, গৃহবন্দি অবস্থায় তিনি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।”
‘‘ আপনারা নিশ্চয়ই ইতিমধ্যে খবর জেনেছেন যে, গতকাল তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে তাকে শিফট করতে হয়েছে। তার কারণ তার কন্ডিশন অত্যন্ত ডিটোরেইট করেছিলো।আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি সেইমুহুর্তে ক্রিটিক্যাল মুমেন্ট থেকে বেরিয়ে আজকে সকালে তিনি.. ‘একটু বেটার’।তারপরেও উনি এখনো ক্রাসিসের বাইরে নন।”
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আমরা সরকারের কাছে সারাক্ষনই বলছি তাকে দ্রুত চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হবে এবং ডাক্তাররাও এ্কই কথা বলছেন, তাকে দ্রুত বিদেশে এডভান্স মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো অত্যন্ত জরুরী।”
‘‘ এটা সম্পর্কে এখন পশ্চিমা বিশ্ব থেকে শুরু করে এমনটি পূর্ব বিশ্ব, চীনও এখন কনসার্ণ। এগুলো(খালেদা জিয়ার বিষয়টা) অলরেডি তাদের কনসার্ণে এসে গেছে। তারা বেগম জিয়াকে অনেক উঁচুতে দেখে এবং তাকে সেভাবে তারা দেখে গণতন্ত্রের নেত্রী হিসেবে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে প্রথম মহিলা নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাকে সেভাবে তারা দেখে।কয়েকদিন আগে আমাদের এখানে জার্মান শার্জ দি অ্যাফেয়ার্স এসেছিলেন তিনি বলেছেন যে, তার স্বাস্থ্যে ব্যাপারে আমরা খুব উদ্বিগ্ন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, তাইফুল ইসলাম টিপু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন ও শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।