বেসরকারি খাতকে সরকার করোনাভাইরাসের টিকা দেবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে তারা আমদানি করতে পারবে। কিন্তু সেখানে সরকার টিকার মূল্য নির্ধারণ করে দেবে।আজ সোমবার (১ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এ কথা বলেন।যদিও গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিক্রির জন্য সরকারের কাছে ১০ লাখ করোনার টিকা চায় বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশন।
সেদিন ‘জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম: বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতের সম্পৃক্ততা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সরকারের প্রতি এ দাবি জানানো হয়। টিকাদান কার্যক্রমে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার দাবিও জানান সংগঠনটির নেতারা। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, টিকাদান কার্যক্রমে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা হবে।
এর পরের দিন (১১ ফেব্রুয়ারি) পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকারের কিনে আনা ভ্যাকসিন বেসরকারি হাসপাতালে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হবে। তিনি ওই দিন বলেন, ‘তারা সরকার থেকে কিনে নেবে, আমরা ব্যবস্থা করছি। আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নিয়েছি। তবে সেটা খুব বেশি হবে না, অল্প দেবো। আর তাতে আমাদের ওপরও চাপ কমবে।
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বেসরকারি খাত দেরিতে হলেও এগিয়ে এসেছে মন্তব্য করে আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘তারা সহযোগিতা না করলে আমাদের পক্ষে এ ভাইরাস মোকাবিলা করা খুবই কঠিন হতো। সেজন্য তাদের প্রতি অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। বেসরকারি খাতকে টিকা দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকে যেসব কথাবার্তা হয়েছিল, সেটা আবার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। তাদের এখন টিকা আমদানি করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে সবকিছু ঠিক করে দেওয়া হবে যে তারা কত দামে আনবেন, কত দামে বিক্রি করবেন। কীভাবে কী করবেন সব বলে দেওয়া হবে।
অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আজ জানান, জনগণের টিকা পাওয়া নিয়ে কোনও সংশয় নেই। সময় মতো সব টিকা আসবে।