ঢাকা, বৃহস্পতিবার ২১ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন:ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-08-19, 12.00 AM
 খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন:ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া এই উপমহাদেশের শুধু নয়, এশিয়ার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন নেত্রী। খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছিল ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে। এখনো তিনি বন্দী অবস্থায় আছেন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। তার কিছু হলে সরকারকে সম্পূর্ণ দায় দায়িত্ব নিতে হবে। তার আমলে মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হয়। এভাবে তার অবদান বলে শেষ হবে না। গতকাল  শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে এই পদযাত্রার আয়োজন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি। বিকেল তিনটায় পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তার আগে থেকেই নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সেখানে আসোন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিকেল সোয়া চারটার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে কাকরাইল মোড় ও শান্তিনগর মোড় হয়ে মালিবাগ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। একই দাবিতে গতকাল সারাদেশে মহানগর, জেলা উপজেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করছে বিএনপি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতি থেকে এসেই গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন। তিনি সারাদেশে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা তথা চারণ কবির মতো দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের পক্ষে জাগ্রত করে চলছেন। তাকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। যেই দুই কোটি টাকার অভিযোগে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে সেই টাকা এখন ৮ কোটি টাকা হয়েছে। একই ধরনের মামলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরুদ্ধে হয়েছিল। কিন্তু তাদেরকে শুধু মুক্তি দেওয়া হয়নি মামলা তুলে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এরা অসাংবিধানিক ও অবৈধ সরকার। তারা ১৫ বছর ধরে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে। এরা এখন গণতন্ত্রের জন্য নাকি সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। দেখেন আমাদের ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল হক জিসানসহ ৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ছয় ঘন্টার মধ্যে তাদের মুক্তি না হলে দায় দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে।  আজকে শুধু তারাই নয়, আমাদের নেতাকর্মীদের কেউ ঘরে থাকতে পারেনা। তাদেরকে পুলিশ হয়রানি করছে। এরা বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সবই ধ্বংস করেছে। আমরা এই সরকারের পদত্যাগ চাই। ইনশাআল্লাহ আগামীতে একটি ভালো নির্বাচন হবে। যেখানে জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে। এখনো সময় আছে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করবেন না, বাসা বাড়িতে হানা দিবেন না। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন। অবিলম্বে এক দফা দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ইস্পাত কঠিন মনোবল ধরে রেখে শেখ হাসিনার পদত্যাগ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। আমরা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। তাকে অবিলম্বে বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে হবে। চিকিৎসকরা তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমরা মনে করি বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানেই হাসিনার পদত্যাগে বাধ্য হবে। তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান সহ দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। নেতাকর্মীরা বাসায় থাকতে পারেন না। এই অনাচার দুরাচার থেকে মুক্ত হতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে বিদায় ছাড়া উপায় নেই। বিদেশি প্রভুদের দয়ায় কোনো কাজ হবে। দেশের মানুষ রাজপথে নেমেছে। তারা হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে ঘরে ফিরবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা হবে না। কদিন আগে একজন বিশিষ্ট আলেম দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর জানাজা নিয়ে কী করলো? হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আমাদের নেত্রীর জানাজা আমরা ঠিকমতো দিতে পারবোনা। খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তিনি কোনো অন্যায় করেন নাই। আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে করতে এতদূর এসেছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে শেখ হাসিনার পদত্যাগ চাই, এই সংসদের বিলুপ্ত চাই। তিনি বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কেউ অশান্তি করতে চায় তাদেরকে জবাব দেওয়া হবে। পুলিশ দেখলে পালানো যাবে না। হাতুরি বাহিনী মাঠে নামলে তাদের হাত পা ভেঙে দেওয়ার অধিকার আমাদের আছে। আমরা অনেক রক্ত দিয়েছি। অনেকে প্রাণ দিয়েছে। অনেকে জেলখানায় গেছেন। সবকিছুর হিসেব নেওয়া হবে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে। হাসিনার পতন মানে দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা মামলা হামলাবাজ সরকারের বিদায়ের লক্ষ্যে এখানে পদযাত্রা করছি। এদেরকে বিদায় নিতে হবে। তারা আমাদেরকে হামলা মামলা ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়। এভাবে কিছুদিন হয়তো টিকে থাকা যায় তবে চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আধ হোক খাল হোক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করবো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। আমরা এখনো আপোসহীন আন্দোলন করছি। খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে কোনো আপোস নাই। তাকে সুচিকিৎসা না দিয়ে আরো বব্যাধিগ্রস্ত খরা হয়েছে। বাইরে চিকিৎসা নিতে দিচ্ছেনা। আমরা তার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি করছি। বাংলাদেশে অন্যায় অবিচার বন্ধ করতে হবে। এটা চিরদিন চলতে পারে না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে বিচারিক আইন উপেক্ষা করে সাংবিধানিক আইন উপেক্ষা করে জেলে পাঠানো হয়েছে। শুধু মানুষের ভোটাধিকার লুটে নিয়ে একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এটা করা হয়েছে। আজকে খালেদা জিয়াকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত তাদের বিচার হবে। দেশে এখন আওয়ামী বিচার লীগ নামে একটি সংগঠন হয়েছে। এটা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হলেও জনগণ কিন্তু বুঝে গেছে। এরা কিভাবে ন্যায় বিচার করবে! এরা তো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির আওতায় চলে আসবে। কেউ রেহাই পাবেন না। ইনশাআল্লাহ দেশে শুভদিন আসছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির তানভীর আহমেদ রবিন, উত্তর বিএনপির আমিনুল হকের পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো  বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আহমেদ আযম খান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আতাউর রহমান ঢালী, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মীর সরফত আলী সপু, নাসির উদ্দিন অসীম, রকিবুল ইসলাম বকুল, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, শিরিন সুলতানা, খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, নিলোফার চৌধুরী মনি, বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ, নাজিমউদ্দিন আলম, রফিক সিকদার, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানী, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, ছাত্রদলের সাইফ মাহমুদ জুয়েল, পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে কাদের গণি চৌধুরী, রাশেদুল হক, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, অধ্যাপক আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক শহীদুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শেখ মনির উদ্দিন, অধ্যাপক আবদুল করিম, অধ্যাপক দেবাশীষ পাল, ড. মো. নূরুল আমিন, ডা. মো. আবদুস সালাম, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ডা. মো. মেহেদী হাসান, সহ অসংখ্য নেতাকর্মী।
নোয়াখালীতে পদযাত্রা : নোয়াখালী প্রেসক্লাব চত্ত্বরে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  এ সময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান বলেন, বিএনপি কি করবে, অন্যান্য রাজনৈতিক দল কি করবে, সেটা বড় কথা নয়। দেশের জনগণ ইতিমধ্যে সিন্ধান্ত নিয়েছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না। শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং প্রতিহিংসার বিচারে বন্দী বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে নোয়াখালী জেলা বিএনপি ও সহযোগী গঠনগুলো এ পদযাত্রার আয়োজন করে।   নেতাকর্মিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা শৃঙ্খলার সাথে আন্দোলনের মাঠে থাকবেন।  অবশ্যই আমাদের জয় হবে, গণতন্ত্রের জয় হবে। বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী জেলে। হাসিনার পতন রাজনৈতিক ভাবে হয়ে গেছে। এখন জোর করে ক্ষমতায় আছে। জোর করেও আর বেশি দিন থাকতে পারবেনা। এখন গ্রামের মানুষও মামলা আর গ্রেফতারকে ভয় করেনা।
মানিকগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশের বাধা, সড়কেই সমাবেশ:  বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে পদযাত্রা করেছে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপি। তবে এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা। পুলিশি বাঁধার মুখে সড়কেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা। পরে সেখান থেকে বেউথা-বাসস্ট্যান্ড সড়ক হয়ে জেলা শহরে প্রবেশের চেষ্টা করেন তারা। তবে পদযাত্রাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিস পর্যন্ত আসলে বাধা দেয় পুলিশ। পরে সেখানেই সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সমাবেশে মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছি। কিন্তু আমাদের এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও অবৈধ সরকার তার লাঠিয়াল বাহিনী পুলিশ দিয়ে বাধা দিচ্ছে। এই অবৈধ সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাহিরেও যেতে দিচ্ছে না। বেগম জিয়ার কিছু হলে এর দায়ভার শেখ হাসিনা সরকারকেই নিতে হবে।
গাজীপুরে পদযাত্রাঃ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিদেশে উন্নত চিকিৎসাসহ সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে গাজীপুরে পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুর জেলা বিএনপির ষভাপতি ফজলুল হক মিলন ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হান্নানের নেতৃত্বে এ পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জামালপুরে পদযাত্রাঃ বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও জামালপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, একদফার আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই এই নিশি রাতের সরকারের পতন ঘটানো হবে। জামালপুরে বিএনপির ২০জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিএনপিকে গ্রেফতার, মামলা, হামলা করে বিএনপির আন্দোলন থামানো যাবে না। গতকাল দুপুরে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, বিদেশে উন্নত চিকিৎসাসহ সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শহরের মালগুদাম রোড থেকে এক পদযাত্রা বের করে। পদযাত্রাটি বজ্রাপুর রোডে গিয়ে শেষ হয়। পদযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি একথা বলেছেন।
নেত্রকোনায় বিএনপির পদযাত্রা, ৬ নেতাকর্মী আটক:  বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, উন্নত চিকিৎসা এবং একদফা দাবিতে নেত্রকোনায় পদযাত্রা-সমাবেশ করেছে জেলা বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এসময় ছয় নেতাকর্মীদের আটক করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার জেলা শহরের বনুয়াপাড়া এলাকা থেকে পদযাত্রা বের হয়ে আবু আব্বাস ডিগ্রি কলেজের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক, সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীসহ দলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা বলের, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না। এই সরকারকে সরিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশমাতা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে এনে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে। এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন, একদফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি ঘরে ফিরে যাবে না।
নাটোরে বিএনপি অফিসের সামনে আ.লীগের অবস্থান, ইউপি চেয়ারম্যানের উপর হামলা : নাটোর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৯টায় পদযাত্রা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও  আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থানে এখন পর্যন্ত কর্মসূচি শুরু করতে পারেনি তারা। এদিকে কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসা বিএনপি নেতা সদর উপজেলার কাফুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালামসহ তার সহযোগীদের হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় শহরতলীর সুগার মিল এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। জানা যায়, দুটি হাইচ গাড়িতে ১৫ থেকে ২০ জন দুর্বৃত্ত এসে তাদের উপর আক্রমণ করে। এতে গুরুতর আহত হন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম। আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে নাটোর কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।উল্লেখ্য যে, গত ১০ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।