ঢাকা, শনিবার ২৩ই নভেম্বর ২০২৪ , বাংলা - 

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় ডাক্তারা উদ্বিগ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-08-12, 12.00 AM
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থায় ডাক্তারা উদ্বিগ্ন

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ডের উদ্বেগের মধ্যে অবিলম্বে তাকে উন্নত চিকিতসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।শনিবার সকালে বনানীতে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারতের পর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এই দাবি জানান।তিনি বলেন, ‘ গতকালও আমি হাসপাতালে ছিলাম। বোর্ড হয়েছে। সেই বোর্ডের ডাক্তারা খুব উদ্বিগ্ন। তারা মনে করছেন যে, দেশনেত্রীকে যদি অবিলম্বে উন্নত চিকিতসার জন্য বিদেশে প্রেরণ করা না হয় তাহলে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় বা বাংলাদেশে তার চিকিতসা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব হবে কিনা তারা এখনো নিশ্চিত নন। তাই তারা বার বার বলেছেন, তার চিকিতসার জন্য বিদেশে এডভান্স সেন্টারে পাঠানো উচিত। গতকালও তাদের সাথে আলাপকালে কারা এই কথাই বলেছেন যে, তাকে বিদেশে পাঠানো খুবই দরকার।”

 

‘‘ একই সঙ্গে দেশবাসীকে এবং যারা দায়িত্বে আছেন তাদেরকে আমি পরিস্কার করে বলতে চাই যে, অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং তার সুচিকিতসার জন্য তাকে বাইরে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।”

 

ফখরুল বলেন, ‘‘অন্যায় গণতন্ত্র মুক্তির জন্য যে আন্দোলন শুরু হয়েছে এক দফার দাবির, সেই দাবি আদায় করে জনগন একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশনেত্রীকে মুক্ত করবে এবং তার মুক্তির ব্যবস্থা করবে।”

 

গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা‘য়’ কয়েকদিন যাবত অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শক্রমে গত বৃহস্পতিবার রাতে বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিতসাধীন আছেন।

 

সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, ডায়াবেটিস, কিডনি, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

 

সর্বশেষ গত ১২ জুন বিএনপি চেয়ারপারসন এই হাসপাতালে শারীরিক চেকআপে আাসেন। তখনও তাকে কয়েকদিন হাসপাতাল চিকিতসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষনে থাকতে হয়েছে।

 

কোকোর কবর জিয়ারত

 

খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানীতে তার কবর জিয়ারত করেন। এ সময়ে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিনের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়াসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা ছিলেন।

 

২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় তিনি মারা যান।

 

কবর প্রাঙ্গনে জিয়ারতের পর বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘‘ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অত্যাচার ও নির্যাতনেই অকালে প্রাণ হারান আরাফাত রহমান কোকো। দুর্ভাগ্য আমাদের অত্যন্ত মেধাবী ও অসাধারণ সংগঠক তাকে মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিনের সরকার নির্লজ্জ ও নির্মমভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে তাকে। শারীরিক নির্যাতনে তিনি অসুস্থ হয়ে যান এবং অসুস্থ হওয়ার পর মালয়েশিয়াতে চিকিতসাধীন  অবস্থায় মারা যান।”‘‘ আজকে আরাফাত রহমান কোকোর জন্মদিনে আমরা যারা এখানে জিয়ারত করতে এসেছিলাম আমরা সবাই তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছি।”বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার অবদানের কথা স্মরণ করেন বিএনপি মহাসচিব।