চাঁদাবাজি ও খুনের হুমকির অভিযোগে রাজবাড়ির গোয়ালন্দঘাট থানার ওসি ও এসআইসহ চারজনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (৭ আগস্ট) অভয়নগর উপজেলার গুয়াখোলার মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের মালিক ইমরান হুসাইন এ মামলা করেছেন।সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডিকে আদেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী জিএম কামরুজ্জামান ভুট্টো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।অভিযুক্তরা হলেন- গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার, এসআই মনিরুল ইসলাম, সোর্স সোহেল ওরফে ভাঙ্গা সোহেল এবং ইয়াসিন শেখ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন নদী পথে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের মালামাল দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠান। ২০২২ সালে ব্যবসায়িক প্রয়োজনে মেসার্স সায়াদ এন্টারপ্রাইজের একটি শাখা অফিস নেন রাজবাড়ির গোয়ালন্দ-দৌলদিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। কিছুদিন পর গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি ও এসআইয়ের পরিচয় দিয়ে আসামি সোহেল ও ইয়াসিন অফিসে গিয়ে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদার টাকা না দিলে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না এবং বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেন।সুষ্ঠুভাবে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ভয়ে ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন ২০২২ সালের ১০ মার্চ নওয়াপাড়া বাজার থেকে ৩৯ হাজার টাকা দিয়ে দুইটি মোবাইল ফোন কিনে সাক্ষী শরিফুলের মাধ্যমে ওসি ও এসআইকে পৌঁছে দেন। ২৭ এপ্রিল ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে ১৫টি পাঞ্জাবি, ২৮ এপ্রিল নওয়াপাড়া বাজার থেকে ৩৮ হাজার টাকা দিয়ে চার কার্টুন খেজুর কিনে দেওয়া হয় আসামিদের। এতে সন্তুষ্ট না হয়ে ওসি ও এসআই অপর দুই আসামির মাধ্যমে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে পাঠান। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় ওসি ও এসআই ফোন দিয়ে হুমকি দেয়। ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে তিনি দুই দফায় ওসি ও এসআইকে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দেন।
চাঁদার বাকি টাকার জন্য আসামিরা নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। আসামিদের অব্যাহত হুমকির মুখে ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন গোয়ালন্দ ঘাটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বন্ধ ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে আসামিরা ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদার বাকি টাকা না দিলে মামলা দিয়ে হয়রানিসহ খুন-জখম করবে বলেও হুমকি দিচ্ছেন। নিরুপায় হয়ে ব্যবসায়ী ইমরান হুসাইন আদালতে মামলা করেছেন।