ঢাকা, শনিবার ৪ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

জুলাই মাসে দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৩

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-08-07, 12.00 AM
জুলাই মাসে দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৩

গত জুলাই মাসে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫১১টি। এতে নিহত হয়েছেন ৫৭৩ জন এবং আহত ১২৫৬ জন।নিহতদের মধ্যে নারী ৯৪ জন, শিশু ৭৬। এসব দুর্ঘটনার ১৮৮টি মোটরসাইকেলের, এতে নিহত হয়েছেন ১৮৩ জন, যা মোট নিহতের ৩১.৯৩ শতাংশ। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৩৬.৭৯ শতাংশ।  দুর্ঘটনায় ১৪৬ জন পথচারী নিহত হয়েছে, যা মোট নিহতের ২৫.৪৭ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৮ জন, অর্থাৎ ১৩.৬১ শতাংশ।সোমবার (৭ আগস্ট) ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের চিত্র: দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়- মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৮৩ জন (৩১.৯৩ শতাংশ), বাস যাত্রী ৪৯ জন (৮.৫৫ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি আরোহী ৩৬ জন (৬.২৮ শতাংশ), প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-অ্যাম্বুলেন্স-জীপ আরোহী ২৩ জন (৪ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-ম্যাক্সি-লেগুনা) ১০৩ জন (১৭.৯৭ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র-লাটাহাম্বা) ২২ জন (৩.৮৩ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান আরোহী ১১ জন (১.৯১ শতাংশ) নিহত হয়েছে।

 

দুর্ঘটনা সংঘটিত সড়কের ধরন:

 

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ২০৮টি (৪০.৭০%) জাতীয় মহাসড়কে, ১৯৬টি (৩৮.৩৫%) আঞ্চলিক সড়কে, ৬১টি (১১.৯৩%) গ্রামীণ সড়কে, ৪২টি (৮.২১%) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (০.৭৮%) সংঘটিত হয়েছে।

 

দুর্ঘটনার ধরন:

 

দুর্ঘটনাসমূহের ৯৮টি (১৯.১৭%) মুখোমুখি সংঘর্ষ, ২১৭টি (৪২.৪৬%) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ১৪৪টি (২৮.১৮%) পথচারীকে চাপা/ধাক্কা দেয়া, ৩৩টি (৬.৪৫%) যানবাহনের পেছনে আঘাত করা এবং ১৯টি (৩.৭১%) অন্যান্য কারণে ঘটেছে।

 

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনসমূহ:

 

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের মধ্যে- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রাক্টর-ট্রলি-লরি-ড্রামট্রাক-ফায়ার ব্রিগেড গাড়ি-লং ভেহিক্যাল-রোলার মেশিন গাড়ি ২৭.১৭ শতাংশ, মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স-পাজেরো-জীপ ৪.৭৩ শতাংশ, যাত্রীবাহী বাস ১৯.৬১ শতাংশ, মোটরসাইকেল ২২.২০ শতাংশ, থ্রি-হুইলার (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-টেম্পু-ম্যাক্সি-মিশুক) ১৮.১৫ শতাংশ, স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র-লাটাহাম্বা) ৩.৭২ শতাংশ, বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ২.৩৬ শতাংশ এবং অজ্ঞাত গাড়ি ২.০২ শতাংশ।

 

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা:

 

দুর্ঘটনায় সম্পৃক্ত যানবাহনের সংখ্যা ৮৮৭ টি। (বাস ১৭৪, ট্রাক ১৩৬, কাভার্ডভ্যান ৩১, পিকআপ ৩৮,  ট্রাক্টর ১৪, ট্রলি ৯, লরি ৩, ড্রাম ট্রাক ৩, তেলবাহী ভাউচার ১, লং ভেহিক্যাল ১, রোলার মেশিন গাড়ি ১, ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ২, নির্মাণ সামগ্রীর ট্রাক ১, সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী ট্রাক ১, মাইক্রোবাস ১৯, প্রাইভেটকার ১৬, অ্যাম্বুলেন্স ২, জীপ ৩, পাজেরো ২, মোটরসাইকেল ১৯৭, থ্রি-হুইলার ১৬১ (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা-টেম্পু-ম্যাক্সি-মিশুক), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহন ৩৩ (নসিমন-ভটভটি-টমটম-মাহিন্দ্র-লাটাহাম্বা), বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান ২১ এবং অজ্ঞাত গাড়ি ১৮ টি।

 

দুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণ:

 

সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৩.৭১ শতাংশ, সকালে ২৪.২৬ শতাংশ, দুপুরে ২৬.০২ শতাংশ, বিকালে ১৯.৩৭ শতাংশ, সন্ধ্যায় ৬.৬৫ শতাংশ এবং রাতে ১৯.৯৬ শতাংশ।

 

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান:

 

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ৩৪.০৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৯.৬৬ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৪.৪৮ শতাংশ, প্রাণহানি ১৩.৭৮ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৫.২৬ শতাংশ, প্রাণহানি ১৪.৬৫ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ৮.৮০ শতাংশ, প্রাণহানি ৯.৯৪ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৪.৮৯ শতাংশ, প্রাণহানি ৭.৫০ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৩.৯১ শতাংশ, প্রাণহানি ৫.৪১ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১২.১৩ শতাংশ, প্রাণহানি ১২.৫৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৬.৪৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৬.৪৫ শতাংশ ঘটেছে।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১৭৪টি দুর্ঘটনায় ১৭০ জন নিহত। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২০টি দুর্ঘটনায় ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলা’য় সবচেয়ে বেশি ৪২টি দুর্ঘটনায় ৪০ জন নিহত হয়েছে। সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটেছে শরীয়তপুর ও বান্দরবান জেলায়। এই ২টি জেলায় সামান্য মাত্রার ৫ টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।