ঢাকা, শুক্রবার ৩ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

দুই দলের সমাবেশ সতর্ক পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-07-26, 12.00 AM
দুই দলের সমাবেশ সতর্ক পুলিশ

রাজধানীতে একই দিনে বিএনপি, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর মহা সমাবেশের দিন শান্তি সমাবেশ করবে যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগ। আওয়ামী লীগের সহযোগী এই তিন সংগঠন যৌথভাবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করার কথা জানিয়েছে। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে এবং বিএনপি নয়াপল্টনে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে।

 

সংশ্লিষ্ট সুত্রগুলো বলছে, বিএনপির মহাসমাবেশের ঘোষণার পরপরই ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকেও বড় সমাবেশের ঘোষণা আসে। পাশাপাশী ইসলামী আন্দোলনও একই দিনে সমাবেশের ডাক দেয়। তিনটি দলেরই লক্ষ্য সমাবেশে নেতাকর্মীদের ব্যাপক উপস্থিতি। সমাবেশকে ঘিরে দলগুলোর বিভিন্ন জেলা উপজেলার নেতাকর্মীরাও ঢাকায় এসে যোগ দিবেন। গোয়েন্দা তথ্যমতে সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক লোকসমাগম হতে পারে। 

 

এতে জনদুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্রমতে বুধবার থেকেই ঢাকার প্রবেশমুখে কড়াকড়ি আরোপ করা হতে পারে। ডিএমপি সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনের আগে নিয়মিত বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করবে। এসব চিন্তা মাথায় রেখে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে। বৃহস্পতিবারের সমাবেশের তিন দলের নিরাপত্তার জন্য ডিএমপি বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে থেকে ফোর্স আনার প্রয়োজন হবে না।

 

নিরাপত্তার জন্য তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। সমাবেশকে পূঁজি করে কেউ যাতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেদিকে গোয়েন্দারা নজর রাখছে।  ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া শাখার উপ পুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, যেহেতু অনুমতি নিয়েই সবাই সমাবেশ করবে সেখানে পুলিশ বাধা দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। আমরা সতর্ক থাকবো যাতে সমাবেশকে ঘিরে কোনো ধরণের নাশকতা বা সহিংসতার ঘটনা না ঘটে।

 

এ ধরনের কোনো সম্ভাবনাও দেখছি না। কারণ আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার পরে এখন রাজনৈতিক দলগুলো সতর্ক আছে। তবে আমরা সতর্ক থাকবো যাতে সমাবেশের ভেতরে ঢুকে কেউ অপ্রীতিকর কিছু না করতে পারে। যদি কেউ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, সমাবেশ ঘিরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিন স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদাপোশাকে গোয়েন্দারা দায়িত্ব পালন করবে। সিসি ক্যামেরা, ড্রোন ক্যামেরা, ভিডিও, স্টিল ক্যামেরা দিয়েও ফুটেজ ও ছবি সংগ্রহ করা হবে। আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাতে সমাবেশে কেউ ঢুকতে না পারে সেদিকেও নজরদারি করা হবে।

 

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির এই মুখপাত্র বলেন, এ ধরণের বড় সমাবেশ কর্মদিবসে হলে একটা জনদুর্ভোগ তৈরি হয়। আমাদের ট্রাফিক ডিভিশন এ নিয়ে পরিকল্পনা করছে। যাতে মানুষের কোনো কষ্ট না হয়। অফিস, আদালতমুখী মানুষেরা যাতে তাদের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে করতে পারে। সমাবেশের আশেপাশের সড়ক যাতে ফ্রি থাকে ট্রাফিক পুলিশরা সেভাবে কাজ করবে। রাজনৈতিক দলকেও বলে দেয়া হবে তারা যাতে যানবাহন চলাচলে কোনো ধরনের বিঘ্ন যাতে না সৃষ্টি করে।