আগের স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়েছে দাবি করেছেন ক্রিকেটার নাসির হোসেনের স্ত্রী তামিমা তাম্মি। বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নাসিরের সঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনের এসে এমনটাই দাবি করেন তিনি।
তামিমা বলেন, ‘আমি তালাকের জন্য আবেদন করি ২০১৬ সালে। তা অনুমোদন হয় ২০১৭-তে। সম্পূর্ণ আইনিভাবে সবকিছু মেনে ডিভোর্সটা হয়। উনার (রাকিব) পরিবার এবং তিনি এই সম্পর্কে জানতেন। উনি এখন যা করছেন তা কেন করছেন এটা হয়তো আপনাদের সবারই বুঝা হয়ে গেছে।
এই সময় আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি আর বলেন, ‘আমি বলবো, শুধু দুইটা জিনিস (আমাদের বিয়ে হয়েছিল এবং আমাদের একটা বাচ্চা আছে) ছাড়া উনি যত কথা বলেছেন, অন্য সব কথায় মিথ্যে। উনি যা যা বলেছেন সেসব কথার প্রত্যেকটি প্রমাণ আমাদের আছে। আরেকটা কথা আমি বিশেষভাবে উল্লেখ করতে চাই, ফেসবুকে ফেইক আইডি বানিয়ে মিথ্যা সংবাদ দেওয়া হচ্ছে আমাদের বিষয়ে। আসলে আমাদের কোনো ফেসবুক আইডি এখন অ্যাক্টিভ নেই। নাসিরেরও নেই। ওর একটা ফেসবুক পেজ আছে। কোনোকিছু যদি জনগণকে জানাতে হয়, তাহলে আমরা ওর ফেসবুক পেজে এসে জানাবো। দয়া করে, অন্যের কথা শুনে বিষয়গুলো ছড়নো থেকে বিরত থাকুন। ’
সংবাদ সম্মেলন শেষে নাসিরের আইনজীবি তামিমার ডিভোর্স সার্টিফিকেটের কপি সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিয়ে করেন ক্রিকেটার নাসির হোসেন। এর ৫দিন পর হয় তাদের বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। তবে এরই মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, আগের স্বামীকে তালাক না দিয়েই নাসিরকে বিয়ে করেছেন তার স্ত্রী তামিমা তাম্মি।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাইসা ইসলাম বাবুনি নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারীর একটি পোস্ট ভাইরাল হয়। সেই পোস্টে তামিমার স্বামী রাকিবের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, এখনও তাদের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের ঘরে রয়েছে ৮ বছর বয়সী একটি মেয়ে সন্তানও। তালাক না দিয়ে নতুন বিয়ে করায় তামিমার বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন রাকিব।
ভাইরাল হওয়া ওই পোস্টে রাকিবের সঙ্গে নাসিরের একটি অডিও কলও রয়েছে। যেখানে নাসির রাকিবকে ফোন দিয়ে জানতে চান কেনো তিনি জিডি করেছেন। ২০১১ সালে রাকিবের সঙ্গে তামিমার বিয়ে হয়। বর্তমানে সৌদি এয়ার লাইন্সের কেবিন ক্রু হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তামিমা।
এ বিষয়ে নাসিরের সঙ্গে একাধিকার যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে নাসিরের বড় ভাই নাসিম হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তবে তিনি আপাতত কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না। নাসির নিজেই খুব শিগগিরই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান নাসিম।
মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন নাসির