সশস্ত্র বিদ্রোহের অভিযোগে ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ ও এর প্রধান ইভজেনি প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বিদ্রোহ বন্ধে ওয়াগনারের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে, সেটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই মঙ্গলবার (২৭ জুন) মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়। খবর ব্লুমবার্গের।রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, ওয়াগনার গ্রুপের সশস্ত্র বিদ্রোহের ঘটনায় দায়ের করা ফৌজদারি মামলাটি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিদ্রোহীরা ‘অপরাধ করার লক্ষ্যে’ কর্মকাণ্ডগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।চুক্তি মোতাবেক, রুশ সেনাবাহিনীর কাছে ভারী সমরাস্ত্রগুলো হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে ওয়াগনার গ্রুপ। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।গত শনিবারের বিদ্রোহ থামাতে ইভজেনি প্রিগোজিন ও তার যোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বেলারুশিয়ান প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো। তার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াগনার প্রধানের ব্যক্তিগত প্লেন বেলারুশে অবতরণের পরে মামলা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা সামনে এলো।লুকাশেঙ্কো মঙ্গলবার মিনস্কে এক সভায় বলেছেন, আমি এটি লুকাবো না। দক্ষিণ রাশিয়ায় ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো খুবই বেদনাদায়ক ছিল।লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তির অংশ হিসাবে ওয়াগনারের যোদ্ধা ও প্রিগোজিনকে বেলারুশে যেতে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন পুতিন। সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে তিনি বলেন, আমি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পূরণ হবে।এছাড়া, বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর প্রথম বার্তায় ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন বলেছেন, তিনি সরকার উৎখাতের জন্য মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেননি। তার দাবি, ওয়াগনার বাহিনীর দুটি শহরের সামরিক স্থাপনা দখল ও মস্কোর দিকে যাত্রার লক্ষ্য ছিল প্রতিবাদ জানানো, পুতিন প্রশাসনকে উৎখাত করা নয়।প্রিগোজিন বলেছেন, রুশ কর্তৃপক্ষ আগামী ১ জুলাই থেকে ওয়াগনার গ্রুপ বন্ধ করে দিয়ে এর সৈন্যদের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু ওয়াগনার গ্রুপ এর বিরোধী ছিল এবং কমান্ডাররা কেউই মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তি করতে রাজি হননি।
তিনি আরও বলেন, ওয়াগনার গ্রুপকে সক্রিয় রাখার উপায় বের করতে বেলারুশের নেতা আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো সহায়তা করেছেন।প্রিগোজিন তার বার্তায় রুশ সেনাবাহিনীর সমালোচনা করে দাবি করেন, ওয়াগনার গ্রুপকে প্রথম আক্রমণের দায়িত্ব দেওয়া হলে অনেক আগেই ইউক্রেনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শেষ হয়ে যেতো।