ঢাকা, বৃহস্পতিবার ৯ই মে ২০২৪ , বাংলা - 

সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ।।ঢাকাপ্রেস২৪.কম

2023-06-17, 12.00 AM
সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ

‘গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় কলেজের ইজ্জত নষ্ট হয়েছে’- এমন অভিযোগ এনে রাজধানীর সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজে একটি অনলাইন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রতিনিধিকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই সাংবাদিকের নাম নয়ন মোড়ল। আর অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার নাম মো. মফিজুল ইসলাম সুজন। তিনি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক৷ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে৷ সাংবাদিক মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে দেখা যায়, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম সুজনসহ বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী ওই সাংবাদিককে খারাপ ভাষায় গালমন্দ এবং মারধর করেন।মারধরের শিকার ওই সাংবাদিক নয়ন মোড়ল বলেন, ‘আমি পরীক্ষা শেষ করে যখন হল কক্ষ থেকে বের হয়েছি তখন কয়েকজন ছাত্রলীগকর্মী এসে বলে সুজন ভাই তোকে ডেকেছে। পরে ছাত্রলীগ নেতা সুজনসহ উপস্থিত সবাই আমাকে বলে গতকালের ঘটনায় তুই কেন নিউজ করছিস? আমি বলি, আমি তো কোনো নিউজ করিনি। পরে সুজন বলে, তোর কারণে ক্যাম্পাসের মান-ইজ্জত নষ্ট হয়েছে। এ বলে তারা আমাকে গালাগাল ও মারধর করতে থাকে। পরে আমার বন্ধুরা আমাকে তাদের হাত থেকে বাঁচায়।’

 

গতকাল রাতে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজের হলে থাকা শিক্ষার্থীরা রাত ৯টা পর্যন্ত হল গেট খোলা রাখার দাবিতে অধ্যক্ষের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। ওই ঘটনা জাগো নিউজসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।সাংবাদিক মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মফিজুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘মারধর করিনি৷ এমন কিছু ঘটেনি। আপনাকে ফোনে বললে বুঝবেন না। সরসারি বলতে হবে। আমি আপনার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চাই না।’

 

জানতে চাইলে সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. হাসিবুর রহমান বলেন, ‘আমি ঘটনার বিস্তারিত জানি না। প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে আসছি বিস্তারিত কথা বলার জন্য৷ অভিযোগের সত্যতা পেলে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

 

ক্যাম্পাসের এ ঘটনার বিষয়ে জানতে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর গোলাম ফারুককে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের অধীনে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ‘ওই সাংবাদিক নিজেই আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তার সঙ্গে কথা বলেছি। ঘটনার কিছু তথ্য-উপাত্ত আমি তার কাছ থেকে নিয়েছি। এসব বিশ্লেষণ করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে দ্রুতই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’