বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজের ভোট দিতে আসেননি বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। এবারের নির্বাচনে মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর আর বরিশালে আসেননি তিনি। মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর থেকেই সাদিককে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। অবশেষে ভোটের দিনও তাকে বরিশালে দেখা যায়নি।সাদিক ভোট দিতে আসবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সোমবার (১২ জুন) সকালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নিজের ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের বলেন, সাদিক আসবে কি না সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না।
এদিকে গত ৫ এপ্রিল বরিশাল ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান মেয়র সাদিক। সেখান থেকে ভারতের আজমির শরিফ হয়ে আবার ঢাকায় এসে অবস্থান করছেন। মেয়র পদে তার চাচা খোকন সেরনিয়াবাতকে মনোনয়ন দেওয়ার পর আর তাকে বরিশালে আসতে দেখা যায়নি। সবশেষ একবার নিজের কর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কথা বলেন তিনি। এ সময় তার চাচার জন্য সবাইকে কাজ করার অনুরোধ জানান।দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের বড় ভাই আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ (গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া) আসনের সংসদ সদস্য। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার ভোটার। ফলে ভোটের দিন তিনি বরিশালে আসেননি।
অপরদিকে মনোনয়ন নিয়ে শুরু থেকেই চাচা-ভাতিজার মধ্যে বিভেদ চলছিল। এই বিভেদ ঘোচাতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা নানামুখী তৎপরতা চালালেও তারা ব্যর্থ হন। সাদিক আবদুল্লাহ ও তার বাবা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতারা শুরু থেকেই দূরে ছিলেন খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচনী কর্মকাণ্ড থেকে। খোকন সেরনিয়াবাত তার নিজস্ব নেতা-কর্মীদের নিয়েই পুরো নির্বাচনী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছেন। তবে গুঞ্জন রয়েছে বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী একটি পক্ষ দলীয় মেয়র প্রার্থীর জন্য মাঠে নামেননি। মেয়র প্রার্থীর অনুসারীদের অভিযোগ, দলের এই অংশ তাদের বিপক্ষে কাজ করছেন।তবে খোকন সেরনিয়াবাতের নির্বাচনী বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, দলের উচ্চ পর্যায় থেকেই তার (সাদিক আবদুল্লাহ) বরিশালে না আসার জন্য নির্দেশনা রয়েছে।